শহর বাঁকুড়া

আন্তর্জাতিক সমবায় দিবসের প্রাক্কালে জেলার ৪০ জন মহিলা সমবায় সদস্যাদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন সুইচ অনের।

এদিনের আলোচনাপর্ব গুলিতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, যেমন ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, KVIC - খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রি কমিশন, মাইক্রো অ্যান্ড স্মল এন্টারপ্রাইজ ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (MSE-CDP) সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করা হয়।

আন্তর্জাতিক সমবায় দিবসের প্রাক্কালে জেলার ৪০ জন মহিলা সমবায় সদস্যাদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন সুইচ অনের।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন:বাঁকুড়ার মতো অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া জেলার মহিলাদের রুজি-রুটি যোগাতে মহিলা সমবায় গুলির যথেষ্ট অবদান রয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে জেলায় বেশ কিছু মহিলা সমবায় সাফল্যের সাথে কাজ করে চলেছে।এমন সফল মহিলাদের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি,কিভাবে মহিলা সমবায় গঠনে আরও বেশী করে মহিলাদের যুক্ত করে তাদের স্বাবলম্বী করে তোলা যায়,তার পাঠ দিতেই সুইচ অন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এদিন বাঁকুড়ার ডিআরডিসির কনফারেন্স রুমে এই কর্মশালার আয়োজন করে।মূলত,মহিলা সমবায় সমিতি গুলিকে সরকারি প্রকল্প এবং উদ্যোগ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরা হয় এদিন।

এদিনের, এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, দেবজিৎ বোস,প্রজেক্ট ডিরেক্টর, ডিআরডিসি,চন্দন দাস,জেলারেল ম্যানেজার ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রি সেন্টার,বাঁকুড়া,সুইচ অন ফাউন্ডেশনের জেনারেল ম্যানেজার সুরজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ।জেলার উইভার কো- অপারেটিভ সোসাইটি,রামপুর মহামায়া খাদি গ্রামোদয় উদ্যোগ (খাদি সোসাইটি সহ বেশ কয়েকটি সমবায় সমিতির প্রায় ৪০ জন মহিলা এদিন এই কর্মশালা ও আলোচনা সভা থেকে উপকৃত হন।সুইচঅন ফাউন্ডেশনের জেনারেল ম্যানেজার, শ্রী সুরজিৎ চক্রবর্তীর বলেন,"পর্যাপ্ত রসদ এবং সহায়তা প্রদান করে সমবায় গুলির কাজে আরও গতি আনার প্রয়াস চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন,আমরা সমবায় খাতে উন্নয়ন এবং উদ্ভাবনের জন্য সীমাহীন সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য হল স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন উপলব্ধ সুযোগ সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের ব্যবসা শুরু ও প্রসারিত করার জন্য সঠিক জ্ঞান ও পর্যাপ্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করা।”এই অনুষ্ঠানের মুখ্য বৈশিষ্ট্য ছিল যে এখানে সফল নারী উদ্যোক্তাদের সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরে তাদের উদ্ভাবনী পণ্য এবং পরিষেবাগুলি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই প্রদর্শনীর লক্ষ্য ছিল নারী উদ্যোক্তাদের তাদের ব্যবসায়িক উচ্চাকাঙ্ক্ষা অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত এবং উৎসাহিত করা।

অংশগ্রহণকারীরা পারস্পরিক আলোচনাপর্বের মাধ্যমে সরাসরি সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই আলোচনাপর্বগুলিতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, যেমন ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, KVIC - খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রি কমিশন, মাইক্রো অ্যান্ড স্মল এন্টারপ্রাইজ ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (MSE-CDP) সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করা হয়েছিল, যা অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে।শ্রী চন্দন সেন, জেনারেল ম্যানেজার, ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রি সেন্টার বলেন, “এই অনুষ্ঠানটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায়গুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছে।

একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে এবং সরকারি প্রকল্পগুলির উপলব্ধতা সহজতর করে, আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম হতে পারি তার সঠিক দিশা দেখাবে এই কর্মসুচি। "

Next Story