নারদ জয়ন্তীতে নয়,বাঁকুড়ার খেঁড়োশোল গ্রামে বড়দিন থেকে টানা চারদিন ধরে চলে নারদ বন্দনা।
খেঁড়োশোল সর্বজনীন নারদ উৎসব কমিটির সভাপতি গুরুদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, গ্রামের শিক্ষা,শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় এই নারদ বন্দনার আয়োজন করা হয়। এই বছর অষ্টম বর্ষে পদাপর্ণ করল এই নারদ উৎসব।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : গ্রামে শিক্ষা,শান্তি আর সমৃদ্ধির বাড় বাড়ন্তের জন্য ফি বছর নারদ বন্দনায় মাতেন বাঁকুড়ার খেঁড়োশোল গ্রামের বাসিন্দারা। এখানে নারদ জয়ন্তীতে নয়,নারদ পুজো শুরু হয় বড়দিন থেকে। চলে টানা চারদিন পর্যন্ত। বড়দিনের সকালে মঙ্গলঘট সহ শোভাযাত্রা খেঁড়োশোল ও তার পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রাম পরিক্রমা করে। দুপুরে থাকে নরনারায়ণ সেবার আয়োজন। এছাড়া সন্ধ্যেতে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পসরা৷ সবে মিলে চারদিন ধরে সারা গ্রামের মানুষ মাতেন নারদ পুজোয়।খেঁড়োশোল সর্বজনীন নারদ উৎসব কমিটির সভাপতি গুরুদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, গ্রামের শিক্ষা,শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় এই নারদ বন্দনার আয়োজন করা হয়। এই বছর অষ্টম বর্ষে পদাপর্ণ করল এই নারদ উৎসব। সারা গ্রামের মানুষ এই উৎসবে টানা চারদিন ধরে আনন্দে মাতেন।
পুরোহিত স্বপন মুখোপাধ্যায় জানান,এই গ্রামে নারদ পুজো হয় বিশেষ পুঁথি মেনে। তবে, এই পুঁথিতে থাকে পঞ্চ দেবতা,গ্রাম্য দেবতা ও বিষ্ণুর মন্ত্র৷ নারদের জন্য কোন নির্দিষ্ট মন্ত্র নেই। নারদ যহেতু বিষ্ণুর উপাসক,তাই নারদ পুজোয় বিষ্ণুকেই আবাহন করা হয়।খেঁড়োশোল গ্রামে নারদ পুজোয় মেয়ে,জামাইদের যেমন গ্রামে আসার রিতী রয়েছে তেমনি অনেক আত্মীয় স্বজনকেও প্রতিটি পরিবার আমন্ত্রণ জানান। ফলে নারদ উৎসবের চারদিন গ্রামে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। আর এই উৎসবে অংশ নিতে আশেপাশের গ্রামের বসসিন্দারাও হাজির হন। সব মিলিয়ে চারদিনের এই নারদ উৎসব মিলন মেলায় পরিণত হয়।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇