শহর বাঁকুড়া

মা বিড়ি বেঁধে এত দিন পড়ার খরচ যুগিয়েছেন,এবার উচ্চ শিক্ষার খরচ কি করে চলবে?চিন্তা উচ্চ মাধ্যমিকে পঞ্চম সোমনাথের।

মা বিড়ি বেঁধে এত দিন পড়ার খরচ যুগিয়েছেন,এবার উচ্চ শিক্ষার খরচ কি করে চলবে?চিন্তা উচ্চ মাধ্যমিকে পঞ্চম সোমনাথের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অর্জন করা সোমনাথ এখন সানবাঁধার আইকন। বাঁকুড়া গোয়েঙ্কা বিদ্যায়তনের ছাত্র সোমনাথ উচ্চ মাধ্যমিকে কলা বিভাগে ৯৮.৮% নাম্বার পেয়েছে। তার মোট প্রাপ্ত নাম্বার ৪৯৪।বাবা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আর চলাফেরা করতে পারেন না।সুস্থ অবস্থায় তিনি সবজী বিক্রি করে সংসার চালাতেন।এখন বেকার আবস্থায় বাড়ীতেই থাকেন। ফলে সংসারে আর্থিক সঙ্কট নিত্য সঙ্গী। তবে,এই সমস্যা সামাল দিতে এদিয়ে এসেছেন সোমনাথের মা মুক্তা দেবী।

তিনি ছেলের পড়ার খরচ যোগাতে রাত জেগে বিড়ি বাঁধতেন আর সোমনাথ মায়ের পাশে বসে পড়ত৷ সোমনাথের ইচ্ছে ভুগোল নিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে শিক্ষকতা করার।কারণ সে মনে করে, শিক্ষক সমাজের মেরুদণ্ড তাই সমাজ গড়তে শিক্ষকতাকেই তার ভবিষ্যৎ পেশা হিসেবে বেছে নিতে চায় সে।কিন্তু সেক্ষেত্রেও সিঁদুরে মেঘ দেখছে সোমনাথ। উচ্চ শিক্ষার জন্য খরচ কি করা জুটবে। পড়ার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ করে খরচ জোগানো ছাড়া তার কাছে বিকল্প কিছু নেই।মা বিড়ি বেঁধে সংসার খরচের পাশাপাশি পড়া শোনার খরচ চালিয়েছেন।

বিনা পয়সায় কয়েক জন শিক্ষক তাকে টিউশন পড়িয়েছেন। তাতেই উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্য এসেছে কিন্তু এবার উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এই অভাব অনটন কে জয় করে সাফল্যের পথ খোঁজাটাই এখন সব থেকে বড়ো চ্যালেঞ্জ সোমনাথের জীবনে। তা বলাই বাহুল্য। এই মেধাবী ছাত্রের জীবন গড়ার লড়াইয়ে এখন যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন তাহলে সোমনাথ আর আগামী দিনের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।তাই সবার কাছে সোমনাথের পাশে থাকার আবেদন রইল।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story