শুশুনিয়ায় সবুজায়নের উদ্যোগ মাঙ্গলিক সংঘের,বৃক্ষ রোপণে সামিল কচিকাঁচারাও।
গাছ লাগানোর পাশাপাশি, এবার মাঙ্গলিক সংঘ যদি শুশুনিয়া পাহাড়ের সবুজ রক্ষা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় বন দপ্তরের সাথে হাত মিলিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে জেলার এই পর্যটনকেন্দ্র তার হারানো গরিমা ফিরে পাবে, তা বলাই বাহুল্য।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে শুশুনিয়া গ্রাম।এই গ্রামের মাঙ্গলিক সংঘ এবছর তাদের পথ চলার ২৫ বছর পূর্ণ করল।ক্লাবের সিলভার জুবিলী উপলক্ষে শুশুনিয়ায় সবুজায়নের কর্মসুচি নেওয়া হয়।শনিবার,এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ছাতনার বন দপ্তরের রেঞ্জ আধিকারিক এষা বোস।শুশুনিয়া গ্রামের প্রায় দেড় কিমি পথের দুই ধারে ১২০ টি গাছ লাগানো হয় এদিন,বড়োদের সাথে গাছ লাগানোর কাজে হাত লাগায় গ্রামের কচিকাঁচারাও।গাছ লাগানোর কাজে এই কচিকাঁচাদের উৎসাহ দেখে অভিভূত রেঞ্জ আধিকারিক এষা বোসও। তিনি,বলেন এভাবে নতুন প্রজন্মের এগিয়ে আসাটা বড়ো পাওনা।
শুশুনিয়ার মাঙ্গলিক সংঘের এই সবুজায়ন কর্মসূচির প্রশংসাও করেন। অন্যদিকে, শুশুনিয়া মাঙ্গলিক সংঘের অন্যতম কর্মকর্তা মনোরঞ্জন কর্মকার বলেন,শুশুনিয়া পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সমাদৃত।এই পর্যটনকেন্দ্রে যেন সবুজের সমারোহ হারিয়ে না যায়, তার জন্য এলাকা জুড়ে গাছ লাগানোর কর্মসুচি নেওয়া হয়েছে। এবং কেবল গাছ লাগিয়ে দায়িত্ব ভার ছেড়ে দেওয়া নয়, সারা বছর এই গাছ গুলির রক্ষনাবেক্ষণও করবে ক্লাবের ছেলেরা৷ শুশুনিয়া পাহাড়ের সবুজ রক্ষায় মাঙ্গলিক সংঘ কাজ করে যাবে।শুশুনিয়া পাহাড় এবং তার পাদদেশে দিন,দিন সবুজ যেন হারাতে বসেছে৷
গাছ কেটে নেওয়ার পাশাপাশি,পাহাড়ে আগুন লাগানোর ঘটনা আকছার ঘটে। যার ফলে ফি বছর সবুজ নিধন কার্যত রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাছ লাগানোর পাশাপাশি, এবার মাঙ্গলিক সংঘ যদি শুশুনিয়া পাহাড়ের সবুজ রক্ষা ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় বন দপ্তরের সাথে হাত মিলিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে জেলার এই পর্যটনকেন্দ্র তার হারানো গরিমা ফিরে পাবে, তা বলাই বাহুল্য।
👁️🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇