শুশুনিয়া পাহাড়ে বোমা ফাটিয়ে সবুজ বিপ্লব বন দপ্তরের।
খানিকটা ক্রুড বোমের মতো দেখতে এই "বীজ বোমা"। এই বীজ বোমা তৈরী করা হয় বীজ,গোবর সার,এবং জৈব সার দিয়ে। এই সবের মিশ্রণে গোলাকার আকৃতির বল বানানো হয়। যা হুবহু দেখতে বোমার মতো। এই বোমা ফাটিয়ে দেওয়ার পর সুর্যের আলো,বৃষ্টির জল পেলে এই বোমা থেকেই ঘটবে বীজের অঙ্কুরোদগম।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ব্যাগ ভর্তি রাশি,রাশি বোমা।আর সেগুলো ফাটাতে বন কর্মীরা শুশুনিয়া পাহাড়ের পথ বেয়ে উঠছেন দল বেঁধে। যেখানে বোমা ফাটাবেন তারা, পাহাড়ের সেই অংশটা পাথুরে,ফলে গাছ গজায় নি।এই অংশটা পাহাড়ের ন্যাড়া অঞ্চল হিসেবেই পরিচিত। এই ন্যাড়া অঞ্চলেই বোমা ফাটিয়ে সবুজ বিপ্লব ঘটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বন দপ্তর। আসলে খানিকটা ক্রুড বোমের মতো দেখতে এই গোলাকার মন্ড বন দপ্তরের কথায় -"বীজ বোমা"। এই বীজ বোমা তৈরী করা হয় বীজ,গোবর সার,এবং জৈব সার দিয়ে। এই সবের মিশ্রণে গোলাকার আকৃতির বল বানানো হয়। যা হুবহু দেখতে বোমার মতো।
এই বোমা ফাটিয়ে দেওয়ার পর সুর্যের আলো,বৃষ্টির জল পেলে এই বোমা থেকেই ঘটবে বীজের অঙ্কুরোদগম।ধীরে,ধীরে চারা বড়ো হয়ে বৃক্ষে পরিণত হবে৷ ফলে শুশুনিয়া পাহাড়ের ন্যড়া অঞ্চল ন্যাড়ার তকমা ঘুচিয়ে সবুজের সমারোহে সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। এমনই টাই মনে করছেন বন দপ্তরের আধিকারিকরা। বন দপ্তরের ছাতনা রেঞ্জের আধিকারিক এশা বোস জানান,শুশুনিয়া পাহাড়ে সবুজ ফেরাতেই বন দপ্তর এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।বীজ বোমার মাধ্যমে আকাশমণি,বাবলা সহ তিনটি গাছের বীজ ছড়ানো হচ্ছে। এর ফলে পাহাড়ের ন্যাড়া অঞ্চল সবুজে ভরে যাবে বলে আশাবাদী এশা দেবী।
বন দপ্তরের এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে বাঁকুড়া২৪X৭ পরিবারও পাশাপাশি,জেলার পরিবেশ প্রেমী সংগঠন ও মানুষজনকেও শুশুনিয়ার সবুজায়নে হাত বাড়ানোর অনুরোধ রইল।
👁️🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇