শহর বাঁকুড়া

তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে বাঁকুড়া পুরসভায় নির্দল হিসেবে মনোনয়ন বিক্ষুব্ধ দিলীপ,অনন্যা ও লতিকার, জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী হচ্ছেন পার্থ!

তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে বাঁকুড়া পুরসভায় নির্দল হিসেবে মনোনয়ন বিক্ষুব্ধ দিলীপ,অনন্যা ও লতিকার, জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী হচ্ছেন পার্থ!
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়া পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দিলীপ আগরওয়ালকে দল টিকিট না দেওয়ায় অবশেষে তিনি সাত নাম্বার ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেন। শহরের তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত দিলীপ বাবু দলের অফিসিয়াল প্রার্থী প্রয়াত তৃণমূল নেতা শান্তি সিংহের পুত্র বিশ্বনাথ সিংহের বিরুদ্ধে প্রার্থীপদ দাখিল করে কার্যত তৃণমূলের বিরুদ্ধেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। একইভাবে দল টিকিট না দেওয়ায় ১৮ নাম্বার ওয়ার্ডের বিদায়ী বোর্ডের কাউন্সিলর আনন্যা রায় চক্রবর্তীও এদিন নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন।পাশাপাশি,২৩ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার লতিকা হালদারও নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন এদিন।এমনকি দল তাদের প্রার্থী না করায় সংবাদ মাধ্যমের কাছে আক্ষেপও করেন তারা এবং দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।

অন্যদিকে ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের এক প্রাক্তন কাউন্সিলার পার্থ সারথি দে ওরফে ঝুকা এদিন তৃণমূল ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতীকে মনোনয়ন দাখিল করেন।ফলে বাঁকুড়া পুরসভার ৭,৯,১৮ ও ২৩ নাম্বার ওয়ার্ডে গোজ প্রার্থী হিসেবে এই চারজন শাসক দলকে যথেষ্ট বেগ দেবেন বলে মনে করছেন শহরের রাজনৈতিক বোদ্ধারা। যদিও, তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্রের দাবী, এই চারজন৷প্রার্থী হলেও দলের কোন ক্ষতি হবেনা।শুভেন্দু অধিকারির মতো নেতাও দল ছেড়েছেন।তাতে দলের কোন ক্ষতি হয়নি।পাশাপাশি,দিব্যেন্দু বাবু দাবী করেন, দিলীপ বাবু তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র নন। তিনি আগে নির্দল থেকে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, এই চার জনের মনোনয়ন দাখিলের ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে আসরে নেমে পড়েন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রি দানাও।প্রসঙ্গত,পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই বাঁকুড়ার অন্তত ৭ টি ওয়ার্ডের প্রার্থী বদলের দাবীতে তৃণমূল ভবনে তুমুল বিক্ষোভ দলের অন্দরেই আলোড়ন ফেলে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও চলে। এই বিক্ষোভ বন্ধ করতে দলের পক্ষ থেকে মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দেন দলীয় প্রার্থী তালিকায় কোন বদল হবে না। এর পরই দলের টিকিট না পাওয়া এই চারজন দলের অফিসিয়াল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে নামতে মনোনয়ন দখিল করেন।এই চার প্রার্থী ও তৃণমূলের অফিসিয়াল প্রার্থীর মধ্যে ভোট কাটাকাটি বাম ও বিজেপি প্রার্থীর লড়াইটা আরও সহজ করে দেবে বলে দাবী করছেন এই দুই দলের ভোট কুশলীরা।

এখন দেখার গোঁজের গেরোয় শেষ হাসি হাসেন কোন প্রার্থী? সেদিকেই যে নজর রইল ওয়ার্ড বাসীদের। তা বলাই বাহুল্য।

👁️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story