শহর বাঁকুড়া

বাবার নাম মিঃ আলি,মিঃ শীট!তথ্য বিকৃতি পিএফ রেকর্ডে! জট কাটাতে আন্দোলনে মোবাইল টাওয়ার সিকিউরিটি গার্ডদের সংগঠন।

সিকিউরিটি এলায়েড ওয়াকার্স ইউনিয়নের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাস বলেন এই প্রভিডেন্ট ফান্ড বিভ্রাটের পাশাপাশি মুল কোম্পানি ইন্ডাস টাওয়ার এবার মোবাইল টাওয়ার সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত প্রায় আর্ধেক কর্মীকে ঝাঁটাইয়ের যড়যন্ত্র করে ফেলছে। এর প্রতিবাদেই আমদের আন্দোলন চলবে।

বাবার নাম মিঃ আলি,মিঃ শীট!তথ্য বিকৃতি পিএফ রেকর্ডে! জট কাটাতে আন্দোলনে মোবাইল টাওয়ার সিকিউরিটি গার্ডদের সংগঠন।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : সারা বাঁকুড়া জেলায় প্রায় ১৬৫ জন মোবাইল টাওয়ার সিকিউরিটি গার্ড রয়েছেন। তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড রেকর্ডে তথ্য বিভ্রাটের জেরে সিংহভাগ সিকিউরিটি কর্মীরা প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুযোগ,সুবিধা থেকে বঞ্ছিত। এই তথ্য বিভ্রাট ইচ্ছাকৃত ভাবেই করেছেন কোম্পানি আধিকারিকরা, এমন অভিযোগও উঠছে। সব থেকে হাস্যকর যে, অনেক কর্মীর বাবার নামের ক্ষেত্রে, কেবল ওই কর্মীর পদবী উল্লেখ করেই বাবার নাম মিঃ আলি,মিঃ শীট,মিঃ ব্যানার্জি এমন লেখা আছে। আর এর ফলে,ভুগতে হচ্ছে কর্মীদের। বাঁকুড়ার এই মোবাইল টাওয়ার গার্ডের মুল বরাত পেয়েছে ইন্ডাস টাওয়ার কোম্পানি। তারা আবার সাব টেন্ডার দিয়েছে ওয়েলকিন টেলিকম ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেডকে।

এই ওয়েলকিন কোম্পানির আধিকারিকরাই পিএফ রেকর্ডে ভুলভাল তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে। জানা গেছে,সেই সময় যে আধিকারিক এই কাজের দায়িত্বে ছিলেন তিনি আবার কোম্পানি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ফলে তথ্য বিকৃতির সমস্য মেটাতে হিমসিম খাবার জোগাড় কর্মীদের। তাই এবার এই মোবাইল টাওয়ার সিকিউরিটি গার্ডদের সংগঠন সিকিউরিটি এলায়েড ওয়াকার্স ইউনিয়ন ,ওয়েস্ট বেঙ্গল,এই ইস্যুতে আন্দোলনে নামছে।


রবিবার বাঁকুড়া শহরের কমরারমাঠে একটি বেসরকারি লজে এআইটিইউসি অনুমোদিত এই শ্রমিক সংগঠন একটি সভার আয়োজন করে। সিকিউরিটি এলায়েড ওয়াকার্স ইউনিয়নের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাস বলেন এই প্রভিডেন্ট ফান্ড বিভ্রাটের পাশাপাশি মুল কোম্পানি ইন্ডাস টাওয়ার এবার মোবাইল টাওয়ার সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত প্রায় আর্ধেক কর্মীকে ঝাঁটাইয়ের যড়যন্ত্র করে ফেলছে।

কারন, তারা টাওয়ার গুলি বিমার আওতায় এনে ঝুঁকি কমিয়ে ফেলেছে। চুরি হলে বীমা কোম্পানির কাছ থেকে যেহেতু ক্ষতিপূরণ মিলে যাবে তাই আর সিকিউরিটি গার্ডদের রাখতে চাইছে না। কোম্পানির এই কর্মী ছাঁটাই রুখতে সারা রাজ্য জুড়ে এবার আন্দোলনে নামার হুমকীও দিয়েছেন সুব্রত বাবু।এদিকে ওয়েলকিন কোম্পানির পাশাপাশি, প্রভিডেন্ট ফান্ড বিভ্রাটের দায় মাদার কোম্পানি ইন্ডাস টাওয়ারের ওপরও বর্তায়। কিন্তু তারা কর্মীদের স্বার্থ না দেখে কর্মীদের ঝাঁটাই করার পথ খুঁজতেই এখন ব্যস্ত! ফলে এই সমস্যার সমাধান এখন বিশ বাঁও জলে তা বলাই বাহুল্য। আমরা, অনেক চেষ্টা করেও এই দুই কোম্পানির কর্তাদের এই বিষয়ে কোন বক্তব্য পায়নি। তাই পরবর্তী সময়ে আমরা সেই বক্তব্য জানার চেষ্টা চালিয়ে যাব।

এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কর্মীদের আন্দোলনের চাপে এই কোম্পানি ও সরকারের টনক নড়ে কিনা?

👁️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story