আজও স্বমহিমায় গরু খুটা পরব,যা স্থান করে নিয়েছিল রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত প্রবাসী পত্রিকায়।
রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত "প্রবাসী"পত্রিকায় স্থান পেয়েছিল 'গরু খুটা বা কাড়া খুটা উৎসব। প্রবাসীর ১৩২৫ সালের মাঘ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় বাঁধনা তথা গরু খুটা নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ শ্রী পরেশনাথ মুখোপাধ্যায়ের একটি প্রবন্ধ।
![আজও স্বমহিমায় গরু খুটা পরব,যা স্থান করে নিয়েছিল রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত প্রবাসী পত্রিকায়। আজও স্বমহিমায় গরু খুটা পরব,যা স্থান করে নিয়েছিল রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত প্রবাসী পত্রিকায়।](https://www.bankura24x7.com/h-upload/2023/11/16/1115942-sketch-1700113545166t6xkp53z9x.webp)
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : রাঢ় বাংলা ও ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পালিত হয় গরু খুটা বা কাড়া খুটা পরব। এই পরব আসলে, গরু আর মানুষের লড়াই। যার সাথে অনেকটা মিল রয়েছে, স্পেনের ষাঁড়ের লড়াইয়ের। কালীপুজোর পর বাঁধনা,আর সারা রাত ধরে গরু জাগরণ সেরে পরের দিন চলে গরু খুটা। আহিরা গান গেয়ে,গরু বা কাড়া(মহিষ) কে খুঁটিতে বেঁধে,মরা পশুর চামড়া দুলিয়ে উত্তেজিত করে চলে মানুষের লড়াই। যা খুটা বা খুন্টা পরব নামে পরিচিত। এই পরব চলে আসছে যুগ, যুগ ধরে। বিশেষত আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম গুলিতে বাঁধনা উপলক্ষ্যে এই গরু খুটা পরব পালিত হয়।
আজ থেকে প্রায় ১০৫ বছর আগে বাঁকুড়ার ভুমিপুত্র বিশিষ্ট সাংবাদিক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত প্রবাসী পত্রিকাতে স্থান করে নিয়েছিল এই গরু বা কাড়া খুটা পরবের প্রবন্ধ।সেই সময় প্রবাসী পত্রিকার যথেষ্ট কদর ছিল। সাহিত্য আনুরাগীরা এই পত্রিকাকে কুলীন পত্রিকার সারিতে রাখতেন।তাই প্রবাসী পত্রিকায় কোন বিষয়ে প্রবন্ধ ছাপা হলে, সেই বিষয়ের সামাজিক কদরও বেড়ে যেত।প্রবাসীর ১৩২৫ সালের মাঘ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় বাঁধনা তথা গরু খুটা নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ শ্রী পরেশনাথ মুখোপাধ্যায়ের একটি প্রবন্ধ। লেখক লেখেন :"ইহাই তাহাদের বাধুনা পরব অথবা কেহ কেহ কাড়া খুটা ও গরু খুটা বলিয়া থাকে।
..এই উৎসব কৃষককূলের কর্ম্মবহুল শ্রান্ত জীবনে নূতন উচ্ছ্বাস, উত্তেজনা...." এই প্রবন্ধ প্রকাশের প্রায় ১০৫ বছর পরেও বাঁকুড়ার গ্রামে,গ্রামে বিশেষত,জঙ্গলমহল জুড়ে স্বমহিমায় পালিত হচ্ছে গরু খুটা পরব।বাঁকুড়া শহর লাগোয়া নবজীবনপুর গ্রামেও নব উচ্ছ্বাস ও উত্তেজনার ওপর ভর করে গ্রামের মানুষ এবছরও মেতে ছিলেন গরু খুটা পরবে।এই খুটা পরবে কোথাও গরু বা কোথাও কাড়া (মহিষ) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাঁধনার পর এক,এক গ্রামে এক,এক দিন এই খুটার আয়োজনের রিতীও প্রচলিত আছে কোন,কোন এলাকায়।বাংলার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জুড়েই বেশী প্রাধান্য নজরে পড়ে।
এই প্রাচীন লোক ধর্ম কেন্দ্রিক বিনোদন গরু খুটা বা কাড়া খুটা পরবের প্রভাব রয়েছে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়েও।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇