বাঁকুড়া পুরসভা নির্বাচনে গোঁজ প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূল থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কৃত দিলীপ ও অনন্যা।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : তৃণমূলের জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যারা দলের পদে থেকে নির্দল হিসেবে পুর ভোটে প্রার্থী হয়েছেন তারা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নাম প্রত্যাহার না করলে তাদের দল বহিষ্কার করবে। বাঁকুড়া পুরসভায় দলের বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী হিসেবে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার মুখপত্রের দায়িত্বে থাকা ও বাঁকুড়া পুরসভার বিদায়ী তৃণমূল পুরবোর্ডের উপ পুর প্রধান দিলীপ আগরওয়াল এবং ১৮ নাম্বার ওয়ার্ডের গত বারের তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কাউন্সিলর অনন্যা রায় চক্রবর্তী। দিলীপ বাবু ও অনন্যা পার্থ বাবুর হুমকীকে তোয়াক্কা না করে ভোটের লড়াইয়ে সামিল থাকার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।
দিলীপ বাবু বাঁকুড়া পুরসভার ৭ নাম্বার ওয়ার্ডে এবং অনন্যা দেবী ১৮ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন। অবশেষে, আজ বাঁকুড়া তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ বাবু ও অনন্যা রায় চক্রবর্তী কে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কারের দলীয় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র।তিনি বলেন,রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো দল বিরোধী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত থাকার দায়ে এই দুই দলীয় পদাধিকারিদের দল ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করল।এদিকে,দলের এই সিদ্ধান্ত জানার পর দিলীপ আগরওয়াল সাফ জানান এই বহিষ্কারের তার কিছু যায় আসে না। অন্যদিকে, অন্যনা রায় চক্রবর্তীর দাবী,তিনি দিন কয়েক আগেই তিনি দলীয় সব পদ থেকে ইস্তাফা পত্র লিখিত আকারে জিলা সভাপতির কাছে জমা দিয়ে এসছেন। তার পর আজ ঘটা করে বহিষ্কারের ঘোষণার কোন মানে হয়না" বহিষ্কারের আগেই তিনি দলের সাথে সব সম্পর্কে ইতি টেনে দিয়েছেন বলে, অনন্যা দেবী তার অবস্থান স্পষ্ট করেন।
তৃণমূল থেকে এই দুইজন কে বহিষ্কারের পর দুজনেরই তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা পুর ভোটে জয়- পরাজয়ের ওপর নির্ভর করছে বলেই মনে করছেন শহরের রাজনৈতিক মহল।আবার, এই দুই গোঁজ প্রার্থী যদি ভোটে বিজয়ী হন তাহলে তাদের ব্যক্তিগত ক্যারিসমা দলকে ছাপিয়ে, শহরে নুতন নজীর গড়বে তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার ভোট মেশিনে কি রায় দেন এই দুই প্রার্থীর ওয়ার্ডবাসী, তার ওপর নির্ভর করছে এই দুই গোঁজ প্রার্থীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇