পুর সভার নির্দেশ স্বত্বেও টোকেন ছাড়া কোভিডের বুস্টার ডোজ,ক্ষোভ প্রকাশ কাউন্সিলারের।
বাঁকুড়া২৪X৭ প্রতিবেদন: পুর সভার স্পষ্ট নির্দেশ থাকা স্বত্বেও টোকেন ছাড়া কোভিডের বুস্টার ডোজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয় বাঁকুড়া ক্লাবের টিকা কেন্দ্রে। যার জেরে এক নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবাশীষ লাহা ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেন নি।তিনি বলেন,এই টিকা কেন্দ্রে দৈনিক ২০০ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা,অথচ তার থেকে অনেক বেশী মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছেন।আর যেহেতু কোন টোকেন বিলি হয়নি। তাই মানুষ টিকার আশায় দীর্ঘক্ষণ লাইন। দিয়ে শেষে টিকা না পেয়ে অযথা ভোগান্তির শিকার হবেন।
যা কাম্য নয়।দেবাশীষ বাবুর অভিমত যে উড়িয়ে দেওয়ার নয় তা টের পাওয়া গেল লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা টীকা প্রার্থীদের সাথে কথা বলে।আম জনতার সুবিধার কথা ভেবে, তাই দেবাশীষ বাবু টোকেন পদ্ধতি চালুর দাবীতে সরব হন।এবং পুরসভার এই অব্যবস্থা র জন্য তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করেন। খবর পেয়ে,তড়িঘড়ি টিকা কেন্দ্রে ছুটে আসেন বাঁকুড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হীরালাল চট্টোপাধ্যায়। তাকে কাছে পেয়ে ফের ক্ষোভ প্রকাশ করেন দেবাশীষ বাবু।
যদিও,পুরসভার চেয়ারপার্সন অলোকা সেন মজুমদার সাফ জানান,টোকেনের ভিত্তিতেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার নির্দেশ শুক্রবার বিকেলেই তিনি জানিয়ে দেন। এর পরও কেন এমন ঘটনা ঘটল তার খোঁজও নেন।তিনি। জানা গেছে,বুস্টার ডোজের ভ্যাক্সিন এখন জেলায় যা উপলব্ধ আছে, তাতে এই টিকা কেন্দ্রে দৈনিক ২০০ জনের বেশী মানুষকে দেওয়া যাবে না। তাই আগাম লাইনে টোকেন বিলি করে প্রথম ২০০ জনকেই টিকা দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। এবং এবার থেকে এই নিয়মই কোঠর ভাবে মেনে চলা হবে বলেও জানান অলোকা দেবী।
এদিকে,বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ নিতে কার্যত শহরে হিড়িক পড়ে গেছে। তাই এই অবস্থায় জেলায় চাহিদার তুলনায় বুস্টার ডোজের যোগান কম থাকলে এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
👁️🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇