শহর বাঁকুড়া

চালানি মাছে অনীহা, পান্তাভাতে বাঁকুড়া জুড়ে দেশী রুই,কাতলার চাহিদা তুঙ্গে।

অতিকায় মাছ ছাড়া পান্তাভাত জমেই না। তাই,বাড়ির কর্তারা গাঁটের কড়ি খানিক বেশী খরচা করে পরিবারের সকলের হাসি ফোটাতে দেশী জাম্বো কাতলা কিংবা রুই মাছ কিনেই ঘর মুখো হচ্ছেন।

চালানি মাছে অনীহা, পান্তাভাতে বাঁকুড়া জুড়ে দেশী রুই,কাতলার চাহিদা তুঙ্গে।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : মাছে ভাতে বারো মাসেই মজে থাকেন আম বাঙ্গালী। তবে,বছর ভর দেশী রুই,কাতলা কেনা সম্ভব হয়ে ওঠেনা,তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো দক্ষিণের চালানি মাছ বা ময়নার মাছের (যা টাঙ্কির মাছ নামে বেশী পরিচিত) ওপর নির্ভর করতে হয়। যেহেতু দেশী মাছের ঝোগান বাজারে কম থাকে, তাই দামও পড়ে বেশী। অগ্যতা, বিকল্পকেই বেছে নেন আম জনতা। তবে "পান্তা ভাতের পাতে অবশ্যই দেশী মাছের টুকরো পড়ুক"- এটাই এবছরের ট্রেন্ডিং। ফলে পান্তাভাতের মাছের বাজারে দেশী মাছের চাহিদা তুঙ্গে। তা অতিকায় কাতলাই হোক কিংবা পেল্লাই রুই। দাম বেশী হলেও পান্তাভাতে দেশী মাছই কিনছেন বাঁকুড়াবাসী। বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন গ্রামের স্থানীয় পুকুরের মাছ যেমন আছে,তেমন আছে পড়শি জেলা পুরুলিয়ার মানবাজারের জাম্বো রুই ও কাতলা মাছ।

বাঁকুড়া শহরের দেশী মাছের চাহিদা অনেকটাই মেটাচ্ছে মানবাজারের দেশী রুই আর কাতলা। আর স্বাদের জন্য মানবাজারের মাছের চাহিদা তুঙ্গে। অতিকায় মাছ ছাড়া পান্তাভাত জমেই না। তাই,বাড়ির কর্তারা গাঁটের কড়ি খানিক বেশী খরচা করে পরিবারের সকলের হাসি ফোটাতে দেশী মাছ কিনেই ঘর মুখো হচ্ছেন।চক বাজারের খুচরো মাছ ব্যবসায়ী বাসুদেব ধীবর জানালেন,পান্তাভাতে মাছের বাজারে দেশী মাছের চাহিদা বেশী। এবছর জোগান তুলনামুলক ভালো থাকায়,দামও সাধারণের নাগালের মধ্যেই রয়েছে।তাই,দেশী মাছের দিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা৷ মানবাজারের দেশী কাতলা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায়,আর দেশী রুইয়ের কেজি প্রতি দাম ২৫০ টাকা।পাশাপাশি,পুর্ববঙ্গের বাঙ্গালীরা জোড়া ইলিশ পার্বনের জন্য ইলিশ মাছও কিনছেন।

ইলিশের দাম সাইজ অনুযায়ী ১২০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে।এছাড়া পমফ্রেট বিকোচ্ছে ৭০০ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে,চালানি বড়ো রুই বিকোচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।বাসুবাবু জানান,এবার মাছের বাজার ভালো এদিন রাত্রি দশটা - এগারোটা পর্যন্ত বেচা- কেনা চলবে। দামের যেহেতু ফারাক সামান্য,তাই দেশী মাছ বেশী বিকোচ্ছে।শুধু চকবাজারই নয় শহরের দোলতলা, মনোহরতলা, কাটজুড়িডাঙ্গা,কৃষক বাজার সর্বত্রই দেশী মাছের চাহিদা তুঙ্গে৷ বড়ো কাতলার জোগান বাজারে বেশী।তুলনায় দেশী বড়ো রুইয়ের আমদানি খানিক কম। তবে যারা সন্ধ্যের পর বাজারমুখো হবেন তারা দেশী মাছ নাও পেতে পারেন৷ তখন বাধ্য হয়ে চালানি মাছ বা ময়নার মাছেই থলে ভরাতে হবে।

তাই আগে থেকেই মাছের বাজার সেরে ফেলা বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছেন অনেকেই।তাই সকাল থেকেই মাছের বাজারে এদিন ভিড় ছিল উপচে পড়া।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇


Next Story