শহর বাঁকুড়া

শিশু পাচার কাণ্ড: তদন্তের ভার নিল সিআইডি,শহরে এসে পৌঁছল৫ সদস্যের দল, তিন অভিযুক্তকে থানায় ম্যারাথন জেরা।

শিশু পাচার কাণ্ড: তদন্তের ভার নিল সিআইডি,শহরে এসে পৌঁছল৫ সদস্যের দল,  তিন অভিযুক্তকে থানায় ম্যারাথন জেরা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : অবশেষে বাঁকুড়ার শিশু পাচার চক্রের তদন্তের ভার গেল সিআইডির(cid) হাতে। আজ কার্যত জেলা পুলিশের হাত থেকে অফিসিয়ালি তদন্তের পুরো দায়িত্ব সিআইডি গ্রহন করল বলে সুত্রের খবর। এদিন, সিআইডির এন্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং (Anti Human Trafficking Unit /AHTU) ইউনিটের ৫ সদস্য জেলায় এসে তদন্তের কাজ শুরু করেন। এই ৫ সদস্যের দলে দুজন মহিলা আধিকারিকও আছেন। এদিন দুপুরে এই দল বাঁকুড়া সদর থানায় পৌঁছয়। আইসি ও আইও এর সাথে কথাও বলেন তারা। এরপর পুলিশ হেফাজতে থাকা নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া, দুর্গাপুরের কাদারোডের বাসিন্দা, পেশায় চা বিক্রেতা, স্বপন দত্ত এবং নবোদয় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুষমা শর্মার স্বমী সতীশ ঠাকুর,যিনি রিয়া বাদ্যকরের ৯ মাসের শিশু পুত্রকে কিনেছিলেন, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এদিন,কার্যত,এই তিনজনকে ম্যারাথন জেরা করেন সিআইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি,রিয়া, রিয়ার মা ও সুষমা দেবীকেও জেরা করার পরিকল্পনা র‍য়েছে বলে সূত্রের খবর।সেই জন্য দুই মহিলা আধিকারিককেও আনা হয়েছে। এই জেরার জন্য ধৃতদের সিআইডি হেফাজতে নিতে বা জেরা করার জন্য আদালতে আবেদনও করতে পারে সিআইডি।


সিআইডির এই এন্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং শাখার তদন্তকারী দল যেমন তদন্তের প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহ করছে, তেমনি বাঁকুড়া জেলা পুলিশের তদন্ত রিপোর্টের পাশাপাশি সিআইডির বাঁকুড় ডিডি ব্রাঞ্চের মাধ্যমেও সিআইডি তাদের মতো তথ্য জোগাড় করে তদন্তে গতি আনবে বলে জানা যাচ্ছে। এই শিশু পাচাররের ঘটনায় দুর্গাপুর ও বাঁকুড়ার যোগের পাশাপাশি,ভিন রাজ্য রাজস্থানেও যোগ থাকার সুত্র মিলেছে ইতিমধ্যেই।

রাজস্থানের বাসিন্দা অধ্যক্ষ কমল রাজোরিয়া এই শিশু গুলিকে রাজস্থানে মোটা টাকায় বিক্রির মতলব এঁটেছিলেন, তাও তদন্তে উঠে এসেছে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকারের জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এভাবে শিশু পাচার কাণ্ডের কিং পিন বনে যাওয়ায় এই শিশু পাচার মামলার গুরুত্বও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে৷ এবং এই ঘটনার সাথে আন্ত রাজ্য শিশু পাচার চক্রের কোন বড়ো সিন্ডিকেট যুক্ত আছে কিনা? তা খুঁজে পেতেই পুরো মামলার তদন্ত ভার সিআইডির হাতে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি,সিআইডির যেহেতু শিশু ও মানুষ পাচার রোধে বিশেষ সেল রয়েছে তাই তাদের মাধ্যমে এই শিশু পাচার চক্রের তদন্ত আরো নিখুঁত ভাবে সংঘটিত হবে তা বলাই বাহুল্য।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story