শিশু পাচার কাণ্ড : প্রিন্সিপাল সহ ৩ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিল সিআইডি, তদন্তে নবোদয় স্কুলেও গেল সিআইডি টিম।

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : আজ বাঁকুড়া আদালতে শিশু পাচার কান্ডে, নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া সহ ৩ অভিযুক্তের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করা হল। প্রিন্সিপাল ছাড়া বাকী দুজন হলেন, নবোদয় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুষমা শর্মার স্বামী সতীশ ঠাকুর, ইনিই রিয়া বাদ্যকরের একটি ৯ মাসের শিশু পুত্র কিনেছিলেন। আর একজন হলেন দুর্গাপুর কাদারোডের বাসিন্দা, পেশায় চা বিক্রেতা স্বপন দত্ত, যার নাম এই পাচার সিন্ডিকেটের মুল সমন্বয় স্থাপনকারী হিসেবে তদন্তে উঠে আসে। ৩ জনকেই আদালত ৫ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান,সরকারী আইনজীবী সজল বারিক।এদিকে,এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সতীশ ঠাকুর, সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেন,তাকে,রাজ্যের শাসক দলের এক স্থানীয় নেতা এই ঘটনায় অকারণে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। যদিও, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছে শাসক দল তৃণমূল।
সারা রাজ্য তোলপাড় করা এই শিশু পাচার কাণ্ডের তদন্ত ভার সিআইডির হাতে চলে যাওয়ায় মনে করা হচ্ছে এই শিশু পাচার কান্ডের কিনারা খুব তাড়াতাড়িই হয়ে যাবে। সিআইডি দ্রুত গতিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে জোর কদমে নেমে পড়েছে। শুক্রবারই সিআইডির এন্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটের ৫ সদস্যের একটি দল জেলায় এসে বাঁকুড়া সদর থানায় তিন অভিযুক্তকে ম্যারাথন জেরা করে বেশ কিছু ক্লু পেয়ে যান। তারপরই আজ শনিবার বাঁকুড়া আদালতে ধৃত তিন জনকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। বিচারক ৫ দিনের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করেন। অর্থাৎ এবার টানা ৫ দিন এই অভিযুক্ত তিন জনকে জেরা করে আরোও কিছু তথ্য বের করার চেষ্টা চালাবেন সিআইডি আধিকারিকরা।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় ক্রশ চেক করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য জোগাড় করতে এদিন কালপাথরে নবোদয় বিদ্যালয়েও হাজির হয় সিআইডি টিম। সেখানে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন তারা। নবোদয় স্কুল থেকে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে প্রিন্সিপাল, সতীশ ঠাকুর ও স্বপন দত্তকে আলাদা,আলাদা ভাবে জেরা করবে সিআইডি। এরপর তাদের তিন জনের বয়ান মিলিয়ে দেখবে।
এই বয়ানে অসংগতি থাকলে বা কেও তদন্তে ভুয়ো তথ্যদিয়ে সিআইডিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে তা ধরে ফেলতে তৈরি সিআইডি টিম।তার জন্য আগে থেকেই স্কুল গিয়ে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন তারা।এই তিনজনের জেরা শেষ হলে, জেল হেফাজতে থাকা রিয়া,বাদ্যকর, রিয়ার মা সুনীতা দেবী ও শিক্ষিকা সুষমা শর্মাকেও প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে সিআইডি।
সেক্ষেত্রে, পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে আবেদন করতে পারেন সিআইডির আইনজীবী এমনটা সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি, তদন্তের প্রয়োজনে সিআইডি টিম দুর্গাপুরের কাদারোডেও যেতে পারে।সেক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা হবে কিভাবে নবোদয় বিদ্যলয়ের অধ্যক্ষের মতো হাই প্রোফাইল ব্যক্তি কাদারোডের রেড লাইট এলাকায় যোগাযোগ গড়ে তুললেন। এবং এই এলাকায় তারা কতদিনের যাতায়াত। এর আগেও এখান থেকে কোন শিশু পাচার হয়েছে কিনা? এবং তার সাথে এই সিন্ডিকেটের ভোগসুত্র আছে কিনা? এসব তথ্য সংগ্রহ করতে পারে সিআইডি টিম এমনটাও জানা যাচ্ছে।
👁️ দেখুন 🎦ভিডিও। 👇