শহর বাঁকুড়া

শহরের বিস্ময় বালক! ক্যালেন্ডার না দেখে তিন বছরের যে কোন তারিখ বললেই বার তিথি সব বলে দিচ্ছে দীপায়ন।

ছোট থেকে ক্যালেন্ডার প্রীতিই দীপায়নকে এই কৌশল রপ্ত করতে সাহায্য করেছে। আর পাঁচটা ক্ষুদের যেমন খেলার দিকে ঝোঁক থাকে,দীপায়নের ক্ষেত্রে উলটো।খেলা ছেড়ে ক্যালেন্ডার দেখার দিকেই ঝোঁক ছিল তার।

শহরের বিস্ময় বালক! ক্যালেন্ডার না দেখে তিন বছরের যে কোন তারিখ বললেই বার তিথি সব বলে দিচ্ছে দীপায়ন।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : ক্ষুদে দীপায়নের ছোট থেকেই ক্যালেন্ডার প্রীতি নজর কেড়ে ছিল পরিবারের। একবার ক্যালেন্ডারে চোখ বুলিয়েই নিমেষে সব যেন তার স্মৃতিতে থেকে যেত। আর, যে কেও তাকে কেবল তারিখ বললেই সে গড়গড় করে সেই তারিখের বার,তিথি সব একেবারে নির্ভুল ভাবে জানিয়ে দিতে পারে।তার এই তথ্য বলে ফেলার ক্ষমতা সবাইকে অবাক করে দিত। বাঁকুড়া শহরের চাঁদমারীডাঙ্গায় বাড়ী এই ছোট্ট দীপায়ন পাত্রের।।সে বাঁকুড়া শহরের সেন্ট মাইকেল স্কুলের ক্লাস ওয়ানের ছাত্র। বাবা অনির্বাণ পাত্র ও মা তপতী দেবী দুজনেই ছেলের এই তুখড় স্মৃতি শক্তির পরিচয় পান ছোট থেকেই।

তার ঠাকুমা মঞ্জুশ্রী দেবী এবং দাদু অমিতাভ পাত্র প্রথম,প্রথম নাতির সাথে কথায়,কথায় বা খেলার ছলে তারিখ বলে বার,তিথি জানতে চাইতেন আর সে ঠিক,ঠিক বলে দিত।এভাবে দাদু,ঠাকুমার কাছেই তার কার্যত অনুশীলন চলত।এখন তো ২০২১ থেকে ২০২৩ টানা তিন বছরের ক্যালেন্ডার ক্ষুদে দীপায়নের ঠোটস্থ হয়ে গিয়েছে। তবে, এই ক্ষুদে কিভাবে এই কৌশল রপ্ত করেছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না দীপায়নের মা তপতী দেবীও। তিনি জানান,ছোট থেকে ক্যালেন্ডার প্রীতিই দীপায়নকে এই কৌশল রপ্ত করতে সাহায্য করেছে। আর পাঁচটা ক্ষুদের যেমন খেলার দিকে ঝোঁক থাকে,দীপায়নের ক্ষেত্রে উলটো।

খেলা ছেড়ে ক্যালেন্ডার দেখার দিকেই ঝোঁক ছিল তার।এই তো সবে তিনটে বছরের ক্যলেন্ডার রপ্ত করেছে দীপায়ন। এবার ধীরে,ধীরে অন্তত দশ বছরের ক্যালেন্ডার রপ্ত করার টার্গেট নিয়েছে এই বিস্ময় বালক। তারপর ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের মতো বিভিন্ন রেকর্ড বুকে নাম তোলার ইচ্ছে আছে তার। এই ক্ষুদে দীপায়নের জন্য শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল বাঁকুড়া২৪x৭ পরিবারের তরফেও।

👁️‍🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇

Next Story