কেশিয়াকোল শ্যুট আউট তদন্তে নয়া মোড়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার পিস্তল ,লালবাজার থেকে উদ্ধার মোটর বাইক।
এই শ্যুট আউটে কোন রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পাশাপাশি, সাদ্দামকে মারতে কোন সুপারী কিলারদের বরাত দেওয়া হয়েছিল কিনা? সেই প্রশ্নও উঠছে। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে শেষ পর্যন্ত কোন তথ্য উঠে আসে।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়ার কেশিয়াকোল শ্যুট আউট কান্ডের তদন্তে নয়া মোড়। শ্যুট আউটের প্রায় ১৯ ঘন্টা পর ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল উদ্ধার করল পুলিশ। পাশাপাশি,গতরাতে এই ঘটনার তদন্তে নেমে শহরের লালবাজার এলাকা থেকে শ্যুট আউটে ব্যবহৃত মোটর বাইকটিও উদ্ধার করে পুলিশ। ধীরে,ধীরে এই ঘটনার তদন্তে জাল গুটোচ্ছে পুলিশ৷ এমনটাই মনে করা হচ্ছে।আজ সকালে ঘটনাস্থল কেশিয়াকোল সূর্য্য মন্দিরের উল্টো দিকে একটি মুড়ির দোকানের সামনের রাস্তায় কাদার মধ্যে চাপা পড়ে ছিল পিস্তলটি। বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ সেটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়৷ গতকাল রাতেই শ্যুটারদের ব্যবহৃত মোটর বাইক উদ্ধার হয়।
বাইকটি শহরের লালবাজার এলাকার ভাটিগোড়া থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর আজ সকালে উদ্ধার হল শুট আউটে ব্যবহৃত পিস্তলটি। তবে এই পিস্তলটিই শ্যুটাররা ব্যবহার করেছে, না সাদ্দামের সাথে যারা গাড়ীতে ছিল অর্থাৎ যারা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তাদের কারও কিনা? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আততায়ী পুলিশের কাছে অধরাই থেকে গেছে। পাশাপাশি,সাদ্দামেরও কোন হদিশ মেলেনি। পুর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা সাদ্দাম শেখ জামিনে বাঁকুড়া জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরার পথে তিনি আক্রান্ত হন।
তার বিরোধী শিবির সাদ্দাম কে মেরে ফেলার টার্গেট নেয়। তাকে মারতেই মোটর বাইকে চড়ে সাদ্দামের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি বৃষ্টি চলে। তবে বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যায় সাদ্দাম। সে ঘটনাস্থল থেকে গা ঢাকা দেয়। এখনও পুলিশের কথায় সে 'পলাতক'। এদিকে সাদ্দামের গাড়িতে থাকা তিন জন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের মধ্যে একজনকে পিজিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।এবং দুজনের চিকিৎসা চলছে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সাদ্দামের আত্মীয় এবং পুর্ব বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন ইনটাকের জেলা সম্পাদক নূর মহম্মদ শাহ গুলি বিদ্ধ হন।তিনি পুর্ব বর্ধমানের গলসীর বাসিন্দা।
সাদ্দাম ও তার বাবা জঙ্গল শেখ ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন জেলে বন্দি ছিলেন,তাদের বিরুদ্ধে খুন সহ নানা অপরাধের মামলা রয়েছে।২০১৭ সালের ৬ মার্চ কাটোয়ার খাজুরডিহির বাসিন্দা সাবির শেখ খুনে গ্রেপ্তার হন সাদ্দাম। খুন ছাড়াও সাদ্দামের নামে ৩৩টিরও বেশি মামলা রয়েছে। প্রায় ৭ বছর পরে মঙ্গলবার জেল থেকে ছাড়া পান সাদ্দাম। তারপরই এই ঘটনা। সাদ্দামের বাবা জঙ্গলও একই মামলায় জেলবন্দি ছিলেন। গত তিন দিন আগে পুরুলিয়া জেল থেকে সাদ্দামের বাবা ছাড়া পান। তার পরদিনই সাদ্দামেরও জামিন মেলে। বাবা ও ছেলের একসাথে ছাড়া পাওয়ায়,তারা ফের কাটোয়া জুড়ে নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করবে?
এমন আশঙ্কা থেকেই সাদ্দামের বিরোধী গ্যাং সাদ্দামকে মেরে ফেলার ছক কষেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।তবে, বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যান সাদ্দাম। বছর কয়েক আগে প্রকাশ্যে গুলি করে সাদ্দামের এক ভাইকে মেরে ফেলে তার বিরোধী শিবির। এবার টার্গেট ছিল সাদ্দাম।সাদ্দামের বাবা জঙ্গল শেখ তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলরও ছিলেন। বর্তমান পুর্ব বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতির সাথে জঙ্গল শেখের দীর্ঘদিন ধরে সাপে- নেউলের দম্পর্ক বলে জানা গেছে। তাই এই শ্যুট আউটে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা? তাও তদন্তে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পাশাপাশি, সাদ্দামকে মারতে কোন সুপারী কিলারদের বরাত দেওয়া হয়েছিল কিনা?
সেই প্রশ্নও উঠছে। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে শেষ পর্যন্ত কোন তথ্য উঠে আসে? সেদিকেই নজর রয়েছে সবার।
👁️🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇