মাচানতলায় সরকারি জমি বেদখল,বস্তি উচ্ছেদের নকশা তৈরি পুরসভার,পুনর্বাসনের দাবিতে সরব বাসিন্দারা।
বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসক অয়ন দত্তগুপ্ত বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো প্রশাসন এই এই কাজে নেমেছে।জবরদখলকারীদের সরে যেতে বলা হয়েছে।যদি কারও জায়গা বা জমির বৈধ দখল স্বত্ব থাকে তাহলে তাদের কাগজ পত্র নিয়ে অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : সরকারি জমি দখল করে অবৈধ ভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করেতে এবার কোমর বেঁধে নেমে পড়ল প্রশাসন।বাঁকুড়া পুরসভা,সদর মহকুমা প্রশাসন পুলিশকে সাথে নিয়ে শহরের মাচানতলা এলাকার জবর দখলকারীদের হটাতে তৎপরতা শুরু। যদিও এখানে বসবাসকারী প্রায় ১৭ টি পরিবারের দাবি,তাদের উপযুক্ত পুনর্বাসন না দিলে,তারা কিছুতেই জমি ছাড়বেন না। এখানকার পরিবারগুলির দাবি,কেও,কেও টানা ৪৭ বছর ধরে পরিবার নিয়ে এখানে আছেন।এর আগেও উচ্ছেদের চেষ্টা হয়েছে,কিন্তু পুনর্বাসন না মেলায় তারা যথারীতি রয়ে গেছেন।এই ২৭ টি পরিবারে সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন বসবাস করেন।
এবারও প্রশাসন তাদের বিকল্প থাকার জায়গা বা জমির পাট্টা না দিলে তারা জমি ছাড়বেন না বলে পণ করেছেন। আর এতেই বিপাকে পড়েছে প্রশাসন।মঙ্গলবার বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন অলকা সেনবমজুমদার,মহকুমাশাসক অয়ন দত্তগুপ্ত,পুরসভার উপ পুরপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ এবং বাঁকুড়া সদর থানার আইসিকে সাথে নিয়ে এই বস্তিতে অভিযান চালান। অলকা দেবী হুঁশিয়ারিও দেন এই সরকারী জমি অবিলম্বে খালি করে দিতে হবে।না হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসক অয়ন দত্তগুপ্ত বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো প্রশাসন এই এই কাজে নেমেছে।জ
বরদখলকারীদের সরে যেতে বলা হয়েছে।যদি কারও জায়গা বা জমির বৈধ দখল স্বত্ব থাকে তাহলে তাদের কাগজ পত্র নিয়ে অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে।এদিকে,রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে এইউচ্ছেদ অভিযান নিয়ে পালটা সরব হয়েছে বিজেপি।বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সম্পাদক উজ্জ্বল মন্ডলের অভিযোগ,পুরসভা,পুলিশ, প্রশাসন সবাই বিষয়টা নিয়ে অবগত থাকলেও এতদিন কেন উদ্যোগ নেয়নি? এটা প্রশাসনিক ব্যার্থতা না কি এর পিছনে কাটমানি ফ্যাক্টর কাজ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।প্রসঙ্গত,এর আগেও বেশ কয়েকবার এই বস্তি উচ্ছেদের জন্য পুরসভা অভিযান চালালেও তা শেষ পর্যন্ত বিফলে গেছে।
এবার আদৌ এই এলাকা থেকে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয় কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শহরবাসীরাও।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇