এইমসে চাকরি,বিধায়ক কন্যাকে আড়াই ঘন্টার ম্যারাথন জেরা,চাকরি কার সুপারিশে মৈত্রেয়ীকে প্রশ্ন সিআইডি'র।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এমসের চাকরিতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগের তদন্তে আজ বাঁকুড়ায় এসে বিধায়ক নিলাদ্রি দানার মেয়ে মৈত্রেয়ীকে আড়াই ঘন্টার ম্যারাথন জেরা করল সিআইডির তদন্তকারি দল। এদিন দুপুরে কলকাতার ভবানীভবন থেকে বাঁকুড়ার কানকাটায় বিধায়ক নিলাদ্রি দানার বাসভবনে পৌছয় সিআইডি টিম।তখন,ঘড়িতে বাজে দুপুর একটা। এরপর টানা সাড়ে তিনটে পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সিআইডি টিমের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিলাদ্রি বাবু অবশ্য তার ব্যক্তিগত আইনজীবী শুভাশিস দে কে ডেকে পাঠান।
এবং নিলাদ্রি বাবু ও তার মেয়ে দুজনে শলা পরামর্শ করেন।তবে,সিআইডি বাড়ীতে ঢুকেই আইনজীবীকে নিচের রুমে বসিয়ে রাখেন।এবং ওপর তলায় নিলাদ্রি বাবু ও মৈত্রেয়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।সুত্রের খবর,সিআইডি আধিকারিকরা মৈত্রেয়ী কে বারে,বারে জিজ্ঞাসা করেন যে, তার এই চাকরিতে কে,কে সুপারিশ করে ছিলেন। তার বাবার পাশাপাশি, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।সুভাষ সরকারের নামও উঠে আসে। এছাড়া, চাকরির আবেদন কখন কিভাবে,করেছিলেন? ইন্টারভিউ লেটার কবে হাতে পান? কবে পরীক্ষা দেন?
পরীক্ষার ফল কি ভাবে জানতে পারেন?চাকরির অফার লেটার কবে পান? এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটার হিসেবে আগে কাজের কোন অভিজ্ঞতা ছিল কিনা? এমন এক গুচ্ছ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় বিধায়ক কন্যাকে। পাশাপাশি,নিলাদ্রি বাবুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। তবে, ম্যারাথন জেরার শেষে সিআইডি টিম নিলাদ্রি বাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই নিয়ে কোন কথা বলতে চাননি এদিন।সিআইডি টিমেএ মতোই এদিন সংবাদ মাধ্যম কে এড়িয়ে যেতে বাড়ির বাইরে বের হন নি নিলাদ্রি বাবু ও তার মেয়ে।
নিজেদের কার্যত ঘরবন্দি করে রাখেন তারা।যদিও শেষে, তাদের হয়ে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলেন তাদের ব্যক্তিগত আইনজীবী শুভাশিস দে।তিনি দাবী করেন, মৈত্রেয়ী এইমসের কোন কর্মীই নন। বেসিল নামে একটি ঠিকা সংস্থার অধীনে সে কাজ করে। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে সব তথ্য তিনি ও নিলাদ্রি বাবু যৌথ ভাবে জানাবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দেন এদিন।প্রসঙ্গত,গত ১ এপ্রিল কল্যাণী এমসের নার্সিং কলেজে ডেটা এন্ট্রি অপারেটার হিসেবে কাজে যোগ দেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কের মেয়ে মৈত্রেয়ী দানা।
তার অল্প কিছু দিন পরেই বিজেপিরই এক নেতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এই চাকরির নিয়োগে অনিয়ম ও স্বজন পোষণের অভিযোগ জানান।এবং দাবী করেন,দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের সুপারিশে এমসে চাকরি পেয়েছেন বিধায়ক কন্যা।পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদের এক চাকরিপ্রার্থীও এই নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে আট জনের নামে কল্যাণী থানায় এফআইআর দায়ের করেন।এরপর মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৈত্রীকে সোমবার তলব করে সিআইডি।কিন্তু।হাজিরা এড়িয়ে সিআইডি-র কাছে ১০ দিন সময় চেয়ে নেন মৈত্রেয়ী।কিন্তু সেই সময় সীমার আগেই শুক্রবার সিআইডি টিম বাঁকুড়া এসে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে এই মামলার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
👁️🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇