বাঁকুড়া শহরের সোনার গয়না দোকানের ডাকাতির কিনারা, ঝাড়খন্ড থেকে উদ্ধার১৫ লাখ টাকার গহনা,গ্রেপ্তার ৭।
এই ডাকাতির ঘটনার কিনারা করতে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করেন।এই টিম দারুণ তৎপরতার সাথে কাজ করে। গয়না দোকানের সিসিটিভির হার্ডডিক্স ডাকাতরা ভেঙ্গে দিলেও আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ ও শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ থেকে পাওয়া সুত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙ্গায় দিন - দুপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ডাকাত দলের পুরো গ্যাঙকে ধরে ফেলে নজির গড়ল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। পাশাপাশি, ঝাড়খন্ডের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ডেরায় হানা দিয়ে উদ্ধার হল ডাকাতি হওয়া প্রায় ১৫ লাখ টাকার গয়নাগাটিও।
এই ডাকাতির ঘটনার কিনারা করতে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করেন।এই টিম দারুণ তৎপরতার সাথে কাজ করে। গয়না দোকানের সিসিটিভির হার্ডডিক্স ডাকাতরা ভেঙ্গে দিলেও আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ ও শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ থেকে পাওয়া সুত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ।
এরপর, ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা গাড়ীর হদিশ পায় পুলিশ। এবং গাড়ীর চালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গঙ্গাজলঘাটির বাসিন্দা এবং পুলিশের খাতায় দাগী অপরাধী হিসেবে পরিচিত বাবলু গরাইয়ের এই ডাকাতির সাথে যুক্ত থাকার কথা জানতে পারে তদন্তকারি দল। এবং রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবলুকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, এই ডাকাতির ঘটনায় সেই মুল পান্ডা।
মুর্শিদাবাদ থেকে লোক এনে সে এই ডাকাত দল তৈরি করে। এবং ঝাড়খন্ডের ধানবাদ জেলার নিরসা থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকাত গয়না উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে এই ডাকাতির সিংহভাগ গয়না বিক্রি করেছিল বাবু গরাইয়ের সিন্ডিকেট। এরপর ঝাড়খন্ড থেকে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী গনেশ বার্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া মুর্শিদাবাদ থেকে তিন জন এবং জি ঘাটি থেকে মূলপান্ডা বাবু গরাই ও মিলন নাথ নামে গাড়ীর চালক ছাতনা থেকে দেবদাস দাস মিলিয়ে মোট সাত জনকে গ্রেপ্তার করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। দেবদাস ডাকাতির পর বাইকে চড়ে ডাকাতদের সওয়ারী গাড়ীটিকে গাইড করে মেন রাস্তা ছাড়িয়ে বিকল্প রাস্তায় নিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই ডাকাতির সাথে এরাজ্যের বাঁকুড়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার পাশাপাশি পড়শি রাজ্য ঝাড়খন্ডেরও যোগ রয়েছে বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।
এই ডাকাতির ঘটনায় প্রাথমিক সুত্র পেতে যথেষ্ট কাজে লেগেছে সিসিটিভির ফুটেজ। তাই এবার গয়না দোকান, পেট্রোল পাম্প বা বড়ো বিপণিতে সিসিটিভির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য, প্রতি থানায় বিশেষ কর্মসুচী নিচ্ছে জেলা পুলিশ। পাশাপাশি, জেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও সড়কের মোড়ে সিসিটিভির সক্রিয়তাও বাড়ানো হচ্ছে। ফলে এবার থেকে কোন অপরাধী অপরাধ করে সহজে গা ঢাকা দিতে পারবে না তা বলাই বাহুল্য।
👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇