ইন্দাসের সোমসারের সাথে কলকাতার চাঁদপাল ঘটের মেলবন্ধনে এবার বাধা করোনাসুর!
দামোদরের তীরে জেলার প্রাচীন জনপদ ইন্দাসের সোমসারে প্রায় ৩০০ বছরের ইতিহাস বয়ে চলেছে জমিদার পাল বাড়ীর দূর্গাপুজো। এই পাল পরিবারের পূর্বপুরুষ চন্দ্রমোহন পাল বিলিতি বস্ত্রের ব্যবসায় সেই সময় খ্যাতি অর্জন করেন বাংলা জুড়ে। ব্যবসার প্রসারে তিনি কলকাতার গঙ্গায় একটি ঘাটও তৈরি করেন। যা চাঁদপাল ঘাট নামে পরিচিত।পাশাপাশি,ইন্দাসের সোমসারে ৬টি তালুক কিনে পত্তন করেন জমিদারিও। এর পর স্বপ্নাদেশ পেয়ে সোমসার গ্রামে শুরু করেন দূর্গাপুজো
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দামোদরের তীরে জেলার প্রাচীন জনপদ ইন্দাসের সোমসারে প্রায় ৩০০ বছরের ইতিহাস বয়ে চলেছে জমিদার পাল বাড়ীর দূর্গাপুজো। এই পাল পরিবারের পূর্বপুরুষ চন্দ্রমোহন পাল বিলিতি বস্ত্রের ব্যবসায় সেই সময় খ্যাতি অর্জন করেন বাংলা জুড়ে। ব্যবসার প্রসারে তিনি কলকাতার গঙ্গায় একটি ঘাটও তৈরি করেন। যা চাঁদপাল ঘাট নামে পরিচিত।পাশাপাশি,ইন্দাসের সোমসারে ৬টি তালুক কিনে পত্তন করেন জমিদারিও। এর পর স্বপ্নাদেশ পেয়ে সোমসার গ্রামে শুরু করেন দূর্গাপুজো।
ফি বছর চাঁদপাল ঘাটের সাথে সোমসারের মেলবন্ধন ঘটায় এই দূর্গাপুজো। এবার, সেই মিলনে ভাটা পড়ার আশঙ্কা করছেন পাল বাড়ীর সদস্যরা। কারণ,করোনাসুরের হানায় এবার বাইরে থেকে পাল বাড়ীর প্রবাসী সদস্যরা অনেকেই আসাতে পারবেন না। পাশাপাশি, স্থানীয়দেরও ভীড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবছর। ফলে,পুজোর আনন্দ খানিক ম্লান হবে বলেই মনে করছেন তারা।
একসময়,পুজোতে সোমসারের এই জমিদার বাড়ীর সদস্যরা প্রজাদের বিলি করতেন বিলিতি কাপড়। পুজোর কটাদিন জমিদার বাড়ী সেজে উঠত আলোর রোশনাইয়ে। নহবতের মূর্ছনায় আর ঢাকের বাদ্যিতে মুখর হত ঠাকুর দালান। থাকত যাত্রাপালা, কবিগান,রামলীলা,পুতুল নাচের আসর। এখন সে সব অতীত। জমিদারির রমরমা আর নেই। নেই আগের মতো পূজোর জৌলুষ। তবে পরম্পরা মেনে আজও পাল পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম ফি বছর আয়োজন করে আসছেন এই পূজো।
এখানে হিন্দু,মুসলিম সকলেই সমান ভাবে অংশ নেন পুজোর উৎসবে।ফলে পুজোর চার দিন মিলন মেলায় পরিনত হয় সোমসারের পাল বাড়ীর ঠাকুর দালান।
কিন্তু, এবার সেই ছন্দে কিছুটা হলেও ব্যঘাত ঘটাচ্ছে কোভিড ১৯। তাই এবার ভাটা পড়ছে পুজোর সার্বিক আনন্দে। কমছে আড়ম্বরও।তাই মন ভালো নেই সোমসারবাসীর।
দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇