বাঁকুড়ার এই গ্রামে মা লক্ষ্মী গজের পিঠে বিরাজমান!গজ বাহিনীর আক্রমণ থেকে বাঁচতেই গজলক্ষ্মীর আরাধনায় মাতেন গ্রামের মানুষ।
রামকানালীর এই গজলক্ষী প্রতিমার গঠনশৈলীতেও রয়েছে অভিনবত্ব।দেবীর একচালার প্রতিমা।এখানে দেবী লক্ষ্মী- 'গজ' - অর্থাৎ হাতির পিঠে অধিষ্ঠাত্রী। দুই দিকে দুই সখী বেষ্টন করে আছেন দেবী প্রতিমাকে।আর একচালার প্রতিমার ওপরে দুই পাশে থাকে দুইটি বিশালাকার ময়ূর।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের প্রাচীন জনপদ রামকানালী গ্রাম। জঙ্গল লগোয়া এই গ্রামে হাতির উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়তেন গ্রামবাসীরা। বনদপ্তরের সীমানা অনুযায়ী এই গ্রাম পড়ে বেলিয়াতোড় রেঞ্জের মধ্যে। আজও এই গ্রামে হাতির আনাগোনায় ছেদ পড়েনি। তাই, আজও প্রায় ১২৭ বছরের পরম্পরা মেনে কোজাগরী পূর্নিমায় রামকানালী গ্রামের বাসিন্দারা মাতলেন গজলক্ষীর আরাধনায়। কথিত আছে,পূর্বপুরুষেরা গ্রামে হাতির হানায় জমির ধান,ফসল,ঘরবাড়ি এমনকি নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে এই গজলক্ষীর পুজোর প্রচলন করেন। তাও প্রায় আজ থেকে ১২৭ বছর আগে।
সেই পরম্পরা চলে আসছে আজও। প্রাতিটি গ্রামবাসীর বিশ্বাস দেবীকে তুষ্ট করতে পারলেই হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে পুরো গ্রাম।রামকানালীর এই গজলক্ষী প্রতিমার গঠনশৈলীতেও রয়েছে অভিনবত্ব। দেবীর একচালার প্রতিমা। এখানে দেবী লক্ষ্মী- 'গজ' - অর্থাৎ হাতির পিঠে অধিষ্ঠাত্রী। দুই দিকে দুই সখী বেষ্টন করে আছেন দেবী প্রতিমাকে। আর একচালার প্রতিমার ওপরে দুই পাশে থাকে দুইটি বিশালাকার ময়ূর। এই অভিনব আদলে তৈরি লক্ষ্মী প্রতিমাই এই গ্রামে পূজিত হয়ে আসছেন যুগ,যুগ ধরে।গজের পিঠে বিরাজমান বলে এই লক্ষী গজলক্ষ্মী নামে পরিচিত।এই পুজো দেখতে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য গ্রামের মানুষও ভিড় জমান।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇