কেঞ্জাকুড়ার মেগা জিলিপি বেচা- কেনায় কোভিডের থাবা!
দিন,দিন নাকি ছোটো হতে,হতে গরিমা হারাচ্ছে কেঞ্জাকুড়ার মেগা জিলিপি। এক সময় এক একটা জিলিপির ওজন হত ১৫ থেকে ২০ কেজি। তা কমতে,কমতে এখন তিন কেজিতে এসে ঠেকেছে! ভাদু আর বিশ্বকর্মা পুজোয় সারা রাঢ় বাংলা জুড়ে যে কদর ছিল এই মেগা জিলিপির, সেই কদরেও পড়ছে ভাটা। তার ওপর এবছর এই মেগা জিলিপিতে কোভিড থাবা বসিয়েছে বিক্রি বাটায়।ফলে কেঞ্জাকুড়ার মেগা জিলিপির ভিয়েনে নেই আগের মতো ব্যস্ততা।মন ভালো নেই জিলিপি কারিগরদেরও।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : কোভিডের থাবায় কেঞ্জাকুড়ার মেগা জিলিপি! কয়েক শতাব্দীর প্রাচীন এই মিষ্টান্ন টিকে প্রথম এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হল। কোভিড আবহে এবছর বাজার মন্দা এই মেগা জিলিপির। ফলে তৈরিও হচ্ছে নাম মাত্র। এবার, কেঞ্জাকুড়া ছাড়া বাইরের এলাকা ও প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড ,বিহার বা ওড়িশার বরাত নেই। পাশাপাশি শহর বাঁকুড়া থেকেও যে খদ্দেররা জিলিপি কিনতে যেতেন তাও কমে গিয়েছে। হাতে গোনা গুটিকয় স্থানীয় খদ্দেরের ওপর ভরসা করেই এইবার ভাদু ও বিশ্বকর্মা পুজোয় জিলিপি কেনা বেচা চালাচ্ছেন কেঞ্জাকুড়ার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।
এক সময় কেঞ্জাকুড়ার এই অতিকায় জিলিপির কদর ছিল সারা রাঢ়বাংলার পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যেও। এমনকি কে কত বড়ো মাপের জিলিপি বানাতে বরাত দিতেন তার মাপকাঠিতেই ঠিক হত সেই ব্যক্তির বনেদিয়ানা। কয়েক দশক আগেও ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের জিলিপি তৈরি হত এখানে। কিন্তু গত কয়েক বছরে ওজন কমতে,কমতে তিন কেজিতে এসে থমকে গিয়েছে। এখন আর বিশাল মাপের জিলিপি বরাত দেওয়ার প্রতিযোগিতা নেই। নেই সেই উন্মাদনাও। কেবল পরম্পরা রক্ষায় কিছু পরিবার ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিন এই জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ টিকিয়ে রেখেছেন।এখনও বেয়ান বাড়ীতে এই দিনে এই অতিকায় জিলিপি পাঠানোর রীতি মেনে চলেন কেঞ্জাকুড়ার মেয়ের বাপের বাড়ীর লোকজন। তবে, এবছর কোভিড আবহে অনেকেই বেয়ান বাড়ীতে জিলিপি পাঠাচ্ছেন না। তাই জিলিপি তৈরির ব্যস্ততায় বিস্তর ভাটার টান কেঞ্জাকুড়ায়। ফলে মন ভালো নেই এই ঝিলিপির ব্যাপারীদের।
তবে,বাজার মন্দা হলেও পরম্পরাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এই ভাবনা থেকেই অল্প হলেও এবছর মেগা জিলিপি বানিয়েছেন জিলিপির ব্যাপারীরা। তাদের আশা আসছে বছর ফের স্বমহিমায় ফিরে আসবে এই মেগা জিলিপি। তার জন্য আর একটা বছর অপেক্ষা করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇