দুয়ারে গুলাব ! ল্যান্ডফলের পর জেলায় কতটা প্রভাব পড়বে? জেনে নিন।
গুলাব স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর ২৯ সেপ্টেম্বর তা এই রাজ্যে নিম্নচাপ আকারে প্রবেশ করবে। এই সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বুধবার জেলায় ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এমনকি বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ২৯ তারিখ অর্থাৎ বুধবার কমলা সতর্কতা জারি করে হয়েছে জেলায়।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দুয়ারে গুলাব! আজ দুপুর তিনটে থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে ল্যান্ডফল করবে এই ঘুর্ণিঝড়।হাওয়া অফিস জামিয়েছে,ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ সীমানার কলিঙ্গপত্তনমে আছড়ে পড়বে গুলাব। এর প্রভাবে রবিবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলা গুলিতে ভারী ও অতিভারী বৃষ্টি হলেও বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
তবে রবি ও সোমবার এই দুইদিন জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওতা অফিস। রবিবার দুপুরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ববজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝড় হতে পারে। একই আশঙ্কা রয়েছে রবিবার রাতেও। রবিবার সর্বোচ্চ তাপপাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রির আশেপাশে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। সোমবারও থাকবে একই রকমের আবহাওয়া।
তবে মঙ্গল ও বুধবার আবহাওয়ার আরও পরিবর্তন হবে। কারন গুলাব স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর ২৯ সেপ্টেম্বর তা এই রাজ্যে নিম্নচাপ আকারে প্রবেশ করবে। এই সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে বুধবার জেলায় ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এমনকি বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ২৯ তারিখ অর্থাৎ বুধবার কমলা সতর্কতা জারি করে হয়েছে জেলায়।
ভারী অতিভারী বৃষ্টির সাথে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াও বইবে জেলা জুড়ে। ফলে পুজোর আগে রবিবার থেকে টানা পাঁচদিন জেলায় বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ার ঘনঘটায় ব্যহত হবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
পাশাপাশি পুজোর বাজার মাটি হওয়ার আশঙ্কা করছেন জেলার ব্যবসায়ীরাও। এদিকে গুলাবের জেরে মাথায় হাত প্রতিমা শিল্পীদেরও। পর্যাপ্ত রোদ না মিললে কিভাবে প্রতিমা শুকোবেন তারা সেই নিয়ে চিন্তাই পড়েছেন।