নৃশংসভাবে ইঁট দিয়ে থেঁতলে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী, ভালোবেসে বিয়ে করেও আর সংসার করা হল না প্রতিবন্ধী ,অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর !
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামী সন্তানকে নিয়ে সুখে,শান্তিতে সংসার করবেন! কিন্তু স্বামীর নৃশংস হাত ইঁট দিয়ে থেঁতলে,থেঁতলে চিরতরে তাকে মেরে ফেলে স্বপ্নের সমাধি ঘটাবে, এমনটা কখনও ভাবতে পারেনি রমা দেবী ! কারণ, প্রতিবন্ধী জেনেও তাকে মনে প্রাণে ভালো বেসেছিল যাদব। বছর খানেক আগে তাদের চার হাত এক হয়েছিল।দুজনের। ভালোবাসার নিশানও এখন ছিল রমার গর্ভে।
অথচ, নির্মম ভাবে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ইঁটদিয়ে মাথায় আঘাত করে,থেঁতলে মেরে ফেলল তার বেয়াদপ স্বামী। ঘটনার পরই বেয়াদপ যাদব মাজি বিষ্ণুপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
মৃতা রমার(২৭)মামা থানায় তার ভাগ্নীকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে।
বিষ্ণুপুরের মধুবন গ্রামে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রমার মামার দাবী, তার প্রতিবন্ধী ভাগ্নীকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করলেও বিয়ের পর থেকেই প্রায় টাকা পয়সা চাইত,এমনকি মামার বসত বাড়ী তাকে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিত,চলত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারও।
এই ঘটনা বিষ্ণুপুরের এসডিপিওকে চিঠি দিয়ে জানিয়েওছিল রমা।
কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। শুক্রবার সকালেই ঘটল নৃশংস ঘটনা! রমার স্বামী ইঁটদিয়ে থেঁতলে নৃশংস ভাবে মারে রমাকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে রমার মৃত্যু হয়।
এই মৃত্যু বড়ো প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়ে গেল সমাজ কে!
এতদিনের ভালোবাসা ও ভালোবাসার নিশান গর্ভের ভাবী সন্তান ও এক লহমায় শেষ হয়ে গেল ইঁটের আঘাতে!
#দেখুন ভিডিও।
[embed]