এক বছর তো হেরে গিয়ে ঘরে বসেছিলেন,এবার মানুষের দরজায়,দরজায় যান, বাঁকুড়ায় বুথ কর্মী সভায় নির্দেশ মমতার।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বাঁকুড়ায় বুথ ভিত্তিক কর্মীসভায় দলের প্রতিট কর্মীকে ঘরে বসে না থেকে এবার মানুষের দরজায়,দরজায় যাওয়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বাঁকুড়া শহরের সতীঘাটের কর্মী সভার মঞ্চ থেকে সাফ জানিয়েদেন,তৃণমূলে নেতা থাকেন জনা কয়েক,বাকী কর্মীরাই হল দলের সম্পদ। গত লোকসভায় বাঁকুড়ার দুটি আসন হাতছাড়া হয় তৃণমূলের।পাশাপাশি,বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া আসনে সায়ন্তিকার মতো তারকা প্রার্থীকেও হারতে হয়েছে।
এই হারে মুখ্যমন্ত্রীর যথেষ্ট মনখারাপও হয়েছিল।এই হারের পিছনে বিজেপির অপপ্রচার বা তৃণমূল কর্মীদের ভুলভ্রান্তি ছিল বলেই মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপলব্ধি,গত এক বছর বাঁকুড়া বিধানসভায় হারের পর কর্মীরা ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন।এবার ঘর থেকে তাদের বেরিয়ে আসার নিদান দিলেন তিনি।এমনকি প্রতিটি মানুষের দরজায়,দরজায় কর্মীদের যেতে হবে। থাকতে হবে এলাকার দুয়ারে সরকার কর্মসুচীতেও। সেই নির্দেশও দেন তিনি।এমনকি কর্মীদের উৎসাহ দিতে তিনি বলেন, বাঁকুড়ায় হেরে গেলেও আমি এসেছি।
সায়ন্তিকা হেরে গেলেও রোজ আসে বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়ায় দল এমন লোকদেরই চায়। প্রসঙ্গত,আজ, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সভাস্থলে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং এই সভা খানিক সংক্ষিপ্ত করেন তিনি। কলকাতায় সদ্য প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী কে,কে -কে শেষ সম্মান জ্ঞাপনের জন্য তিনি অন্ডাল বিমান বন্দর হয়ে দমদমে পৌঁছান। রবীন্দ্র সদনে প্রয়াত গায়ক কেকে -এর প্রতি গার্ড অফ অনার দেবে রাজ্য সরকার।মুখ্যমন্ত্রী তাই বাঁকুড়ার সভার সময় কমিয়ে দিয়ে তড়িঘড়ি কলকাতা পৌঁছান।
এদিকে,মুখ্যমন্ত্রী সভার শেষেও প্রচুর মানুষ সভাস্থলে এসে পৌঁছান।বিশেষ কারণে এই সভা সংক্ষিপ্ত করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। ফলে অনেক মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সভা সামানাসামনি শোনার সুযোগ পাননি।শেষে সোস্যাল মিডিয়াতেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন তারা।
👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇