বিজেপির বনধে প্রতীকী পথ অবরোধে সাংসদ ও বিধায়করা,তবে জেলায় বনধের প্রভাব নেই,হেড পোস্ট অফিসে মেলা ভীড়।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : পুর ভোটে রাজ্যের শাসক দলের সন্ত্রাস ও ছাপ্পা ভোট এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধে বাঁকুড়া জেলার সাংসদ,বিধায়করা পথে নেমে মিছিল ও প্রতীকী অবরোধে নামলেও জেলায় বনধের কোন প্রভাবই পড়েনি। জীবন যাত্রা ছিল ষোল আনা স্বাভাবিক। হাট,বাজার দোকানপাট খোলা,ছিল। জেলা জুড়ে বাস চলাচলেও কোন ব্যাঘাত ঘটাতে পারেনি এদিনের বিজেপির বাংলা বনধ। বিজেপির ডাকা বনধে বাঁকুড়া হেড পোস্ট অফিস খোলা,ছিল।পোস্ট অফিসে সকাল থেকেই ছিল উপচে পড়া ভীড়। ব্যাংক,অফিসেও কাজ হয়েছে স্বাভাবিক ছন্দে। ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা,বাঁকুড়ার বিধায়ক নিলাদ্রি দানা, শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরী বনধের সমর্থনে পথে নামেন।
অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুরের বিড়াই সেতুতে প্রতীকী পথ আবরোধ কর্মসুচীতে সামিল হন। এছাড়া জেলার সোনামুখী, ছাতনা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা পথে নামলেও কোথাও বনধের প্রভাব ছিল না। বাঁকুড়া শহরের সার্কিট হাউসের সামনে বিধায়ক নিলাদ্রি দানা এবং বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীল রুদ্র মন্ডলের নেতৃত্বে পথ অবরোধের সময় বাঁকুড়া দুই নাম্বার ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ধ্রুবতারা বন্দ্যোপাধ্যায় মোটর বাইক নিয়ে ঢুকে পড়েন।তার সাথে ছিলেন অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপির বনধ সমর্থনকারীরা তাদের আটকে দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খানিকক্ষন ধরে দুই পক্ষের বচসা চলে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
অন্যদিকে,বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পুর ভোটে শাসক দলের সন্ত্রাসকে ইউক্রেনের যুদ্ধের তকমা দিয়ে তৃণমূলকে একহাত নেন। তবে পুরভোটের ফলে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়া যে বিজেপির কাছে অধরাই থেকে যাবে তা কার্যত মেনে নিয়ে আগামী লোকসভার ভোটে তৃণমূলকে গোল দেওয়ার আগাম হঁশিয়ারি দেন এদিন।
👁️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇