ছাতনা পথ অবরোধ কান্ডে ধৃত বিজেপি নেতা জীবন চক্রবর্তী সহ ৩ জনের জামিন খারিজ, ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেপাজত।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : আদালতের রায়কে অমান্য করে পাড়ায় সমাধানে জল তীর্থের কাজে,দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ছাতনায় পথ অবরোধ কর্মসুচীতে ছাতনা থানার আই,সি কে বিবস্ত্র করে দেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি এবং বেআইনি জমায়েত, পুলিশের কাজে বাধা,ও রাজ্য সড়ক অবরোধের অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকেলেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল বিজেপির প্রাক্তন জেলা সম্পাদক জীবন চক্রবর্তী এবং তার অনুগামী স্থানীয় দুই বিজেপি নেতা শ্যামসুন্দর মন্ডল ও দেবীদাস চক্রবর্তীকে। আজ ধৃত এই তিন জনকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারক।এবং ধৃত তিন জন কে আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেপাজত থাকার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ছাতনার দুবরাজপুর মোড়ে বিজেপির পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসুচীর নেতৃত্ব দেন জীবন বাবু।এই অবরোধ হটাতে গেলে ছাতনা থানার আই,সি আশিষ জৈনের সাথে তুমুল বাক- বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এবং মাইক হাতে আইসির বিরুদ্ধে সুর চড়ান।আইসি কে বিবস্ত্র করার হুমকী দেন তিনি।এবং তাকে গ্রেপ্তার করার চ্যালেঞ্জও ছোঁড়েন।পুলিশ আধিকারিক কে এভাবে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করার ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক মহলেও সমালোচনার ঝড় ওঠে। পুলিশ অবশেষে জীবন বাবু সহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। আজ আদালতে তোলার সময় জীবন বাবু ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, "রাজ্যে গণ তন্ত্র বিপন্ন,উলঙ্গ রাজ চলছে।"তার ফল হল এই পুলিশি গ্রেপ্তারি।
অন্যদিকে, জীবন চক্রবর্তীর আইনজীবী মানিক বিশ্বাস জানান, আদালত আগামী ৪ঠা এপ্রিল কেস ডাইরি চেয়ে পাঠিয়েছেন পুলিশের কাছে। এবং ধৃতরা ১৩ তারিখ পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে থাকবেন। জেলায় বিজেপি নেতার এই গ্রেপ্তারির ঘটনায় অফিসিয়াল বিজেপির জেলা কর্মকর্তারা ছাতনা অবরোধ কান্ডের দায় জীবন বাবুর ওপর ব্যক্তিগত ভাবে বর্তানোর নিদান দিয়ে, কার্যত ওই কর্মসুচীর ওপর দলীয় শীলমোহর না লাগানোর কৌশল নিয়ে পক্ষান্তরে এই ঘটনায় জীবন বাবুর থেকে দুরত্ব রক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বলে সুত্রের খবর। অন্যদিকে,রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও এভাবে পুলিশ আধিকারিক কে আশালীন ভাষায় আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছে।সব মিলিয়ে ছাতনার এই ঘটনা জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর আলোড়ন ফেলেছে তা বলাই বাহুল্য।
👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇