নজরে ভোট

এবার বাঁকুড়ায় চুটিয়ে রাজনীতিতে করবেন সায়ন্তিকা,রথযাত্রায় খুললেন নিজস্ব অফিস,জন সংযোগ বাড়াতে রথের দড়িতে টান।

এবার বাঁকুড়ায় চুটিয়ে রাজনীতিতে করবেন সায়ন্তিকা,রথযাত্রায় খুললেন নিজস্ব অফিস,জন সংযোগ বাড়াতে রথের দড়িতে টান।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : রথযাত্রার শুভ দিনে বাঁকুড়ায় কার্যত রাজনীতির রথও ছোটানোর সুচবা সেরে ফেললেন সায়ন্তিকা। এই অভীনেত্রী তারকা রাজনীতিবিদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদিকার রাজনৈতিক উত্থান বাঁকুড়া জেলা থেকেই। দল গত বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া আসনে তাকে প্রার্থী করলেও সামান্য ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী নিলাদ্রি দানার কাছে। তবে হেরে গিয়েও হাল ঝাড়েননি তিনি। উল্টেবাঁকুড়ায় আনাগোনা বাড়িয়ে দেন।কোভিড আবহে জেলায় নিজের উদ্যোগে বেশ কিছু পরিষেবা চালু করেন কোভিড রোগীদের জন্য। দুয়ারে অক্সিজেন,দুয়ারে আহার,আহা-রে মন,সহ একগুচ্ছ পরিষেবা চালু করে বাঁকুড়া বাসীর নজর কাড়েন সায়ন্তিকা।

এরই মধ্যে দল রাজ্য কমিটির সম্পাদক পদের দায়িত্ব দেন তাকে। ফলে রুপোলী জগতের চেয়ে রাজনীতির আঙ্গিনায় অতি বেশী সক্রিয় হয়ে ওঠেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সক্রিয়ত আরো বাড়িয়ে দিলেন নিজেই। বাঁকুড়ায় চুটিয়ে রাজনীতি করার জন্য মনস্থির করে ফেলেছেন তিনি।শহরের কেন্দুয়াডিহি এলাকায় তার নিজস্ব অফিস চালু করলেন রথযাত্রার দিন। এখান থেকে তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজকর্ম চালাবেন নিজের মতো করে।


এজন্য নিজের পছন্দের কর্মী,সমর্থকদের নিয়ে টিমও বানিয়ে ফেলেছেন। সামনে পুরসভার ভোট৷ তাই তার আগে শহরে দলের রাজনৈতিক ভিত শক্ত করতেই তার এই অতি সক্রিয়তা তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি, রথের দিন বাঁকুড়া শহরে বড়ো ও ছোট এই দুই রথেরই দড়িতে টান দিতে নুতনগঞ্জ ও পোদ্দার পাড়ায় উপস্থিত থেকে জনসংযোগ গড়ার কাজে নেমে পড়েন।

এবং কোভিড বিধি মেনে রথের উৎসবে হাজির হওয়ার আবেদন রাখেন বাঁকুড়া বাসীর কাছে। রথের দিন বাঁকুড়ায় এসে সায়ন্তিকার এই ভুমিকা নজর কেড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলের। একেবারে দুঁদে রাজনীতিবিদের মতো নিজের ঘরানা তৈরী করে জেলার রাজনীতিতে পরিধি বাড়ানোর জন্য তিনি কৌশল নিয়েছেন। তার ফলে শহরে খানিকটা হলেও দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়বে। বিশেষ করে তার তারকা ইমেজের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যুবক,যুবতি এবং মহিলাদের একটা ভালো অংশ তৃণমূল কংগ্রেসে নুতন করে যোগ দেবেন। যা পুরভোটের আগে যথেষ্ট ইতিবাচক হবে শহর তৃণমূলের পক্ষে। এছাড়া সামনে ২১ শে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল কর্মসুচীর প্রচারও চালাবেন তিনি। তার এই রাজনৈতিক সক্রিয়তায় দলের অন্দরেও আলোড়ন ফেলেছে।

অনেকেই বলতে শুরু করে দিয়েছেন যে,স্থানীয় নেতা,নেত্রীর থেকে সায়ন্তিকা যেভাবে বাঁকুড়ার জন্য কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন তা যদি দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে সহায়ক হয় তাহলে স্থানীয় নেতা,নেত্রীদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। যদিও সায়ন্তিকা নিজে লবিবাজি,গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব,মান,অভিমান এসব ভুলে সবাইকে একসাথে নিয়ে দলের জন্য কাজ করতে মুখিয়ে আছেন। সেই জন্যই তার বাঁকুড়ায় নিজস্ব অফিস খোলা হয়েছে। নিয়নিত বাঁকুড়া শহরে এসে তিনি সাংগঠনিক কাজ চালাবেন। এমনকি শহরের কিছু স্থানীয় নেতা,নেত্রী বিধানসভা ভোটে তার হয়ে ভোট প্রচারে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তার বিস্তারিত তথ্য হাতে এলেও সায়ন্তিকা চাননা তাদের দূরে সরিয়ে দিতে৷ বরং, সব মান,অভিমান জলাঞ্জলি দিয়ে দিদির( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আদর্শকে সামনে রেখে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের বিজয় রথ ছোটাতে সবাইকে দড়িতে টান দেওয়ার আহবান জানান রথ যাত্রার দিন। এখন দেখার তার এই প্রয়াস বাঁকুড়ায় তৃণমূলের হারানো জমি ফিরে পেতে কতটা কার্য্যকরী হয়। সেদিকেই এখন নজর রইল জেলার রাজনৈতিক মহলেরও।

👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story