জঙ্গলমহলে হাল বদল,অনাস্থায় হেরে বিক্রমপুরে পঞ্চায়েত হাতছাড়া বিজেপির,গোয়ালবাড়ীতে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটের পর বিজেপি জেলার জঙ্গলমলে তৃণমূল কে কার্যত কোনঠাসা করে দিয়েছিল। বিধানসভা ভোটের পর এবার ঘটল পালা বদল।জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা ব্লকে বিজেপির দখলে থাকা বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত হাত ছাড়া হল। অনাস্থার ভোটাভুটিতে ৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয় বিজেপি।
প্রসঙ্গত,১১ আসনের এই পঞ্চায়েতের ভোটের ফলাফলের নিরিখে বিজেপি ৬ আসন দখল করে বোর্ড গড়ে।নির্বাচিত হন ৩ নির্দল প্রার্থীও এবং তৃণমূল মাত্র ৩ টি আসনে জয়ী হয়। বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরই এই পঞ্চায়েত দখলের খেলা কার্যত শুরু করে তৃণমূল। সম্প্রতি বিজেপির ৩ সদস্য জেলা তৃণমূল ভবনে জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বিজেপি। তারপরই প্রথাগত ভাবে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল।
এবং আজ ছিল ভোটাভুটির দিন। এদিন আরো এক নির্দল সদস্য ও বিজেপির আরও এক সদস্য তৃণমূলের পক্ষ্যে সমর্থন জানান। ফলে ৮ সদস্যের সমর্থনে এবার এই পঞ্চায়েত দখল করে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল যোগদানকারি নিয়তি মাল মল্ল,শিবদাস সিং,সুন্দরী কিস্কু হেমব্রমদের দাবী, দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নে নিজেরা শরিক হিসেবে কাজ করতেই তারা দল ছেড়েছেন। যদিও বিজেপি নেতা তথা বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মণ কিসকুর অভিযোগ, ভয় ভীতি আর টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূল গ্রাম দখলে নেমেছে। জঙ্গলমহলের মানুষ সবই টের পাচ্ছেন। তারাই বিচার করবেন।বিজেপির বিক্রমপুর পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়ার ফলে সারেঙ্গা ব্লকের ৬ টি পঞ্চায়েতের সব কটিই তৃণমূলের ঝুলিতে চলে আসায় কার্যত বিজেপি শূণ্য হল পুরো ব্লক।
পাশাপাশি,সারেঙ্গা ব্লকের গোয়ালবাড়ী পঞ্চায়েতের খামানি গ্রামেও এদিন বিজেপি ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। সারেঙ্গা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রত মিশ্রের হাত ধরে প্রায় ৫০ টি পরিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇