বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়লেন সৌমিত্র খাঁ,রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়লেন সাংসদ তথা বিজেপি যুব নেতা সৌমিত্র খাঁ। আজ নিজের ফেসবুক ওয়ালে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন তিনি। তবে একান্ত ব্যক্তিগত কারণে এই পদ ছাড়ালেন তিনি,তাও স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি, তিনি যে বেসুরো নন তা বোঝাতে তারবদাবী, তিনি বিজেপিতেই আছেন। এবং বিজেপিতেই থাকবেন। অর্থাৎ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনায় তিনি নিজেই জল ঢেলে দিয়েছেন। যদিও, রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এনিয়ে নানা জল্পনা চলছে। এক সময় মুকুল রায়ের হাত ধরে জাতীয় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে কোতুলপুর থেকে তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে তার রাজনীতিতে উত্থান। সেই সময় মুকুল রায়কে নিজের রাজনৈতিক মেন্টার হিসেবেও মানতেন সৌমিত্র।
সেই মুকুল রায় এখন তৃণমূলে স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন। তাই, মুলুল রায়ের হাত ধরে ফের ঘর বাপাসি(তৃণমূলে ফেরা) র প্রেক্ষাপট তৈরী করতেই সৌমিত্রের এই পদত্যাগ কিনা? তা নিয়েও বিজেপি ও তৃণমূল দুই শিবিরেই চর্চা চলছে। তবে, সৌমিত্র খাঁ নিজে অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিজেপি ছাড়বেন না।
তবে কি এমন হল যে রাতারাতি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি? সৌমিত্র বাবু ব্যক্তিগত কারণেই পদ ছাড়ছেন বলে ঘোষণা করেছেন ঠিকই। তবে,এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কারণও। বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাথে তার ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। বিধানসভার ফল ঘোষণার পরও দুইজনের মধ্যে দুরত্ব বড়তে থাকে।সৌমিত্রের নিজের লোকসভা কেন্দ্র বিষ্ণুপুরে দিলীপ ঘোষের ভোট পরবর্তী সাংগঠনিক পর্যালোচনা বৈঠকেও হাজির হন নি তিনি।
তার পরও দুজনের মধ্যে দিন,দিন দূরত্ব বাড়তে থাকে। পাশাপাশি, শুভেন্দু অধিকারীর সাথেও সৌমিত্রের বনিবনা হচ্ছিল না বলে সূত্রের খবর। এমনি কি জানা যাচ্ছে, সৌমিত্র বাবু তার ঘনিষ্ট মহলে বলেছেন দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর সাথে কাজ করতে পারবেন না। তাই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। তিনি তার পদত্যাগ পত্র দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েও দিয়েছেন বলে জানান। এখন দেখার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কি সিদ্ধান্ত নেন। এবং তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেন কিনা?