নজরে ভোট

তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে বনিবনা না হওয়ায় পাত্রসায়রে পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষের ইস্তফা। চাপে শাসক দল।

তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে বনিবনা না হওয়ায় পাত্রসায়রে পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষের ইস্তফা। চাপে শাসক দল।
X

বাঁকুড়া২৪X৭,প্রতিবেদন : বিধান সভা ভোটের আগে রাজ্য স্তরের তৃণমূল নেতাদের পদত্যাগের পাশাপাশি, এবার জেলার গ্রামীন এলাকাতেও নেতাদের পদত্যাগের ঘটনায় চাপে পড়তে হচ্ছে শাসক দলকে। বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধক্ষ্য সুব্রত কর্মকার দলীয় নেতৃত্বের সাথে বনিবনা না হওয়ায় শুক্রবার দুপুরে পাত্রসায়রের বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।


সুব্রত বাবু বলেন, পদে থাকলেও কাজের সুযোগ পানননি। এমনকি দলীয় কর্মসুচীতে তাকে ব্রাতই রেখে দেওয়া হয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে। তিনি নিজেও তাই বাধ্য হয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। এবার কর্মাধক্ষ্য পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন।তবে, তিনি সমিতির সদস্য পদ ও দল ছাড়ছেন না বলেই জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত,সুব্রত বাবু ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত পাত্রসায়র গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। এবং বাম আমলে দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে তিনি এলাকায় ভালো কাজ করেন। এবং পাত্রসায়রে সাংগঠনিক দক্ষতায় তিনি জনপ্রিয় নেতা হিসেবেও পরিচিতি পান এলাকায়। এমন দাপুটে নেতা হটাৎ কর্মাধক্ষ্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে জোর আলোড়ন ফেলেছে।যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবী তিনি ব্যক্তিগত কারণে কর্মাধক্ষ্য পদে ইস্তফা দিলেও তিনি দলেই আছেন এবং তৃণমূলের হয়েই যথারিতি কাজ করবেন।


অন্যদিকে, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই পদত্যাগ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েন নি। স্থানীয় বিজেপি নেতা বাপী হাজরা বলেন তিনি বিজেপিতে আসতে চাইলে আগে তার কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে কাটমানি নিয়ে থাকলে ফেরাতে হবে তবেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারবেন।


এখন সারা রাজ্য জুড়ে যে ভাবে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে, তাতে করে সুব্রত বাবুর এই কর্মাধক্ষ্য পদ থেকে ইস্তফা সিন্দুরে মেঘ কিনা তা নিয়েও জোর জল্পনা চলছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অন্দরেও।

দেখুন 🎦 ভিডিও 👇


Next Story