নিউ নর্মালে জেলায় নুতন উদ্যমে আন্দোলনে সিপিএম,শিল্প তালুক বড়জোড়ায় সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মহা মিছিলে মানুষের ঢল।
নিউ নর্মালে নুতন উদ্যমে জেলায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করল সিপিএম। ব্লকে,ব্লকে আজ বিভিন্ন দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও ডেপুটেশন দিল তারা। শিল্প তালুক বড়জোড়ায় দলের রাজ্য নেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মহা মিছিলে মানুষের অংশ গ্রহণে ব্যপক সাড়া মেলায় এখনকার সিপিএমের নেতারাও উৎসাহ পেলেন অনেক খানি। ফলে তৃনমুল ও বিজেপিকে এবার রাজনৈতিক টক্কর দিতে বামেরাও যে রিতীমত তৈরি তার আভাস মিলল। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের জেলা নেতারা সিপিএমকে খুব একটা আমল দিতে চাইছেন না। তারা বরং বিজেপিকেই প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখছেন।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : নিউ নর্মালে জেলায় নুতন উদ্যমে রাজনৈতিক আন্দোলনে নেমে পড়ল সিপিএম। আজ জেলার প্রতি ব্লকে ডিজিটাল রেশন কার্ড, বিনামূল্যে ১০ কেজি করে খাদ্য শস্য বিলি, একশ দিনের কাজে দূর্নীতি বন্ধ,১০০ দিনের বদলে ২০০ দিনের কাজ প্রদান,এবং মজুরী বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করা, পরিযায়ী শ্রমিকদের আলাদা রেশনের সুবিধা এবং কাজ না পাওয়া পর্যন্ত মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান সহ এক গুচ্ছ দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসুচী ঘিরে সারা জেলায় সিপিএম কর্মী, সমর্থকরা পথে নামেন। জেলার বড়জোড়া শিল্প তালুকে এদিন এই কর্মসুচীর অঙ্গ হিসেবে সিপিএমের রাজ্য নেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মহা মিছিলে মানুষের ঢল নামে। এদিন এই শিল্প শহরে মহা মিছিলে কমরেডদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। বাজনা বাজিয়ে,নেচে কুঁদে দলের সমর্থকদের যে মুড এদিন দেখা যায়। তা দেখে ভোটে জেতার বিজয় মিছিলকে মনে করিয়ে দেয়। আজ কর্মী,সমর্থকদের এই উচ্ছ্বাস দেখে দলের নেতারাও এই ভেবে স্বস্তি পান যে, তাদের প্রতি মানুষের আস্থা এখনও অটুট আছে। আর এই জন সমর্থনকে কাজে লাগিয়েই এবার জেলায় সিপিএম ফের তাদের আন্দোলনের মাটি শক্ত করার কাজ কার্যত শুরু করে দিল।
যদিও,তৃণমুল নেতারা সিপিএমের এই উত্থানকে খুব একটা আমল দিতে চাইছেন না। বড়জোড়ার তৃণমূল নেতা সুখেন বিদের গলায় শোনা গেল সেই সুর।
জেলায় গত বিধানসভায় বড়জোড়া বামেদের দখলেই ছিল। তাছাড়া, বাম- কংগ্রেস মহা জোট জেলার বাঁকুড়া, ছাতনা, সোনামুখী,বিষ্ণুপুর মিলিয়ে ৫ টা আসন ছিনিয়ে নেয়। যদিও বড়জোড়া ও সোনামুখী ছাড়া বাকী বিধায়করা পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তবে গত লোকসভার নিরিখে জেলায় বিজেপি ঝড়ে বাম ও তৃণমূল কেওই সুবিধা করতে পারেনি। এবার ২০২১ এর বিধান সভায় বিজেপির মোদী ম্যাজিক কাজ দেয় না তা ফিকে হয়ে ভোটে বাম বা ঘাস ফুল ভাগ বসায় সেটাই এখন দেখার। তার জন্য আসছে বিধানসভার ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই তা বলাই বাহুল্য।
দেখুন 🎦 ভিডিও।