আবেদন করেও মেলেনি রেহাই! দুগ্ধপোষ্য অসুস্থ শিশুকে নিয়ে ভোট কর্মী প্রশিক্ষণে নাকাল শিক্ষিকা।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দুয়ারে ভোট, জেলা প্রশাসনেও ব্যস্ততা তুঙ্গে। চলছে জেলা জুড়ে ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ। এবার, ভোট কর্মী হিসেবে জেলায় মহিলাদের ঢালাও ডিউটি পড়েছে। আর এই মহিলা ভোট কর্মীদের ভোট কর্মীরা হ অব্যাহতি চেয়ে আবেদনও করেছেন। প্রথম দিন থেকেই আবেদন দাখিলের হিড়িক পড়ে যায়।
বেশ কিছু আবেদনকারীর নামও বাদ যায়। কিন্তু এই বাদ দেওয়া নামের তালিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন! দুগ্ধপোষ্য শিশু রয়েছে এমন মা, এমনকি মহিলা প্রতিবন্ধীরাও আবেদন জমা দিয়ে ছাড় পাননি। তাই নির্বাচন কমিশনের মর্যাদাকে সম্মান জানাতে, দুগ্ধপোষ্য শিশু কোলে হাজির হচ্ছেন ভোট কর্মীর প্রশিক্ষণ শিবিরে। বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজে অসুস্থ দুগ্ধপোষ্য শিশুকে সাথে নিয়েই ভোট কর্মীর প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে, কার্যত নাকাল হলেন এক প্রাথমিক শিক্ষিকা।
শহরের কালীমেলা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে কর্মরত এই শিক্ষিকা সোমা দাস বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারিতে ভোট কর্মীর প্রশিক্ষণের চিঠি আসার সাথে,সাথে তাকে অব্যহতি দিতে আবেদন করেন। তবুও তার নাম বাদ দেওয়া হয়নি। প্রশিক্ষণে গিয়ে, বাচ্চাকে নিয়ে যে ঝক্কি পোয়াতে হয়েছে, সেই ঝক্কি সামলে, শিশু কোলে নিয়ে ভোটের দিন কি করে ডিউটি করবেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।এই অবস্থায় প্রশাসন মানবিকতার পরিচয় দিয়ে, তার মতো দুগ্ধপোষ্য শিশু রয়েছে এমন মহিলাদের ভোটের ডিউটি থেকে যেন বাদ দেয় তার জন্যো জোর সওয়াল করলেন তিনি।
শুধু সোমা দেবীরই এই সমস্যা এমনটা নয়। অনেকেই রয়েছেন, যাদের নির্বাচন কমিশনের প্রথা অনুযায়ী ভোট কর্মী হিসেবে নাম বাদ যাওয়া উচিত। কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারণে, তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি। অথচ, প্রতিদিনই বাদ দেওয়া হচ্ছে অসংখ্য নাম।প্রকাশ করা হচ্ছে তালিকাও। আর এই তালিকায় কেন এই অসংগতি তা নিয়ে জেলা নির্বাচন দপ্তরের ভুমিকায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে?
👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇