চাষ- আবাদ

বাঁকুড়ায় এবার সহায়ক মূল্যে তিন লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাখল জেলা প্রশাসন।

বাঁকুড়ায় এবার সহায়ক মূল্যে তিন লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাখল জেলা প্রশাসন।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : জেলায় এবার সহায়ক মূল্যে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে তিন লাখ মেট্রিক টন। মিল মালিক ও বেনফেড, কনফেড, অত্যাবশকীয় পণ্য নিগম প্রভৃতি এজেন্সি ও সমবায় সংস্থা চাষীদের কাছে এই ধান কিনবে। এই ধান কেনার কাজে যুক্ত বিভিন্ন এজেন্সি, সমবায়, সয়ম্ভর গোষ্ঠীর প্রতিনিধি ও মিলমালিক এবং খাদ্য ও কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে আজ শহরের রবীন্দ্র ভবনে ডিএলএমসি'র রিভিউ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এই বৈঠকে জেলা শাসক জানান,জেলার সেচসেবিত এলাকার চাষীদের কাছ থেকে বিঘা পিছু ৩ কুইন্টাল এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিঘা পিছু ২ কুইন্টাল করে চাল কেনার সিলিং নির্দিষ্ট ভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বেশী সংখ্যক চাষী ধান বেচার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি,বৈঠকে ঠিক হয়, কৃষকবন্ধু ও বাংলা শস্যবীমার কার্ডের রেকর্ডের সাথে তথ্য যাচাই করে চাষীর জমির পরিমান নির্ণয় করা হবে। তার ভিত্তিতেই ধান কেনার মাত্রা বেঁধে দেওয়া হবে। জেলার প্রতি ব্লকের থেকে বিভিন্ন এজেন্সি তাদের কোটা মতো ধান কেনার কাজ করবেন। এবং এই তিন লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা যেন পূরণ করা যায় তার জন্য এজেন্সি গুলিকে এদিন নির্দেশও দেওয়া হয়।

এদিন,জিলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল দাবী করেন একই ব্লক থেকে প্রচুর মাত্রায় ধান কিনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রবনতা ছেড়ে এজেন্সি গুলোকে জেলার সব ব্লক থেকে সমান ভাবে চাষীদের কাছে ধান কিনে বেশী চাষীকে এই সুবিধার আওতায় আনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যদিকে, গত বারের ধান কেনার কমিশন জেলার বেশ কিছু গোষ্ঠী এখনো পাননি বলে জেলাশাসককের কাছে অভিযোগ তোলেন এই বৈঠকে। জেলাশাসক তাদের অবশ্য শীঘ্রই এই বকেয়া মেটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সাথে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন।

এছাড়াও, এবার নুতন করে ৬টি চাল মিলকে চাল কেনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জেলাশাসক উমা শঙ্কর এস।

#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed] href="https://www.bankura24x7.com/mass-beaten-at-lokepur/img-20190819-wa0061-2/" rel="attachment wp-att-6798">

Next Story