বিষ্ণুপুরে আকাশ মাতালো "মল্লের রা", ছাতনায় রাজবাড়িতে সন্ধিক্ষণে "ডালা- দৌড়",দেখুন মহাষ্টমীর ভিডিও কোলাজ।
কামানের তোপ ধ্বনিতে এই সন্ধিক্ষণ নির্নয় করা হয়। প্রায় এক হাজার পঁচিশ বছরেরও বেশী সময় ধরে এই প্রথা চলে আসছে। মল্লরাজাদের এই কামানের তোপধ্বনি মল্লের রা নামে পরিচিত।এক সময় এই কামানের শব্দ শুনে সারা মল্লভূম জুড়ে নির্ধারিত হত
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : মহা অষ্টমী এবং মহা নবমীর সন্ধিক্ষণেই দেবী দুর্গা আবির্ভূতা হন দেবী চামুন্ডা রূপে। এই সন্ধিক্ষণ বলতে বোঝায় মহা অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট এবং মহা নবমীর প্রথম ২৪ মিনিটের সময়কাল। বিষ্ণুপুরে মল্ল রাজবাড়ীর পুজোয় কামানের তোপ ধ্বনিতে এই সন্ধিক্ষণ নির্নয় করা হয়। প্রায় এক হাজার পঁচিশ বছরেরও বেশী সময় ধরে এই প্রথা চলে আসছে। মল্লরাজাদের এই কামানের তোপধ্বনি মল্লের রা নামে পরিচিত।এক সময় এই কামানের শব্দ শুনে সারা মল্লভূম জুড়ে নির্ধারিত হত সধিক্ষন। রীতি মেনে এবারও মুর্চার পাহাড়ে কামানের তোপ দেগে সুচিত হল সন্ধিক্ষণ।মল্লরাজ পরিবারের কূলদেবতা,দেবী মৃন্ময়ীর আরাধনায় মাতোয়ারা সারা মল্লভূম।দেবীর মহাঅষ্টমীর সন্ধি পুজো দেখতে এদিন প্রচুর পুন্যার্থী ভীড় জমান মন্দির প্রাঙ্গণে। একই সাথে কামান ফাটানো দেখতেও ভীড় উপচে পড়ে। বিষ্ণুপুর পুরসভার পুর প্রধান গৌতম গোস্বামী বলেন,এই সন্ধিক্ষনের কামান ফাটানোর সাথে সারা বিষ্ণুপুর বাসীর আবেগ জড়িয়ে আছে।রাজবাড়ীর এই পুজো আজও মল্লভূমের ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছে৷
অন্যদিকে,ছাতনা রাজ বাড়ীর পুজোয় সন্ধিপুজোর দিন অভিনব ডালা দৌড়ের রিতী চলে আসছে যুগ,যুগ ধরে। সন্ধিপুজোর আগে প্রজারা বড়ো ডালায় করে চিড়ে,মুড়কি,ও অন্যান্য নৈবেদ্য নিয়ে নিজের,নিজের বাড়ি থেকে এক ছুটে পৌঁছে যেতেন রাজবাড়ীতে। এবং তা নিবেদন করা হয় দেবীকে। আজও সেই প্রথা মেনে ছাতনার প্রায় শ' দেড়েক মানুষ ডালা হাতে দৌড়ে রাজবাড়ির পুজো প্রঙ্গনে হাজির হন। এই অভিনব ডালা দৌড় দেখতে ভীড় জমান প্রচুর মানুষ। ছাতনার রাজবাড়ীর পুজোয় এই ডালা দৌড়ে অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই ডালা দৌড়ের এক ঝলক।
👁️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇