মুকুটমণিপুরে ফের শুরু খাঁচায় মাছ চাষ,আইসিএআর এর হাত ধরে প্রকল্পের শুরু মৎস্য দপ্তরের।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে মুকুটমণিপুরে খাঁচায় মাছ চাষের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। এই প্রকল্পে ৩২ টি আইসিএআর -সিআইএফারআই জিআই কেজের সাহায্যে পাঙ্গাস মাছ চাষ করা হবে। এই বিশেষ খাঁচার ট্রেডমার্ক রয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চ এর অধীনে।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন (সঞ্জয় ঘটক, মুকুটমণিপুর): বাম আমলে মুকুটমণিপুর জলাধারে কিরণময় নন্দ মৎস্য মন্ত্রী থাকাকালীন ঘটা করে খাঁচায় মাছ চাষের সূচনা হলেও তাতে সফলতা মেলেনি। সেই সময় কয়েক কোটি টাকার ওই প্রকল্প কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। তার দীর্ঘদন পর ফের রাজ্যের মৎস্য দপ্তর খাঁচায় মাছ চাষের প্রকল্প চালু করল মুকুটমণিপুর অর্থাৎ কংসাবতী জলাধারে।গত মার্চ মাসে এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের সাথে মউ স্বাক্ষর করে আইসিএআর- সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিসারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এবং মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে মুকুটমণিপুরে এই খাঁচায় মাছ চাষের উদ্বোধন হল।
রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এদিন। প্রকল্পে ৩২ টি আইসিএআর -সিআইএফারআই জিআই কেজের সাহায্যে পাঙ্গাস মাছ চাষ করা হবে। এই বিশেষ খাঁচার ট্রেডমার্ক রয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চ এর অধীনে। মুকুটমনিপুরে একএকটি ইউনিটে আটটি করে এই ধরনের ভাসমান খাঁচা পাতা হয়েছে।মৎস্য দপ্তরের দাবী,এই খাঁচায় পাঙ্গাস মাছের চাষ করে ভালো লাভ হবে। খাঁচায় পাঙ্গাস মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হওয়ায় তা তাড়াতাড়ি বাজারজাত করা যাবে।এদিন আনুষ্ঠানিক সূচনা পর্বেই প্রায় ২৬ হাজার পাঙ্গাস মাছের চারা ছাড়া হয়। মাস ছয়েকের মধ্যেই এই মাছ বড়ো হয়ে যাবে।
ফলে তা অল্প সময়ে বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠবে। এই খাঁচায় মাচ চাষ পদ্ধতি যদি সফল হয়ে ওঠে,তাহলে মুকুটমণিপুরের অর্থনৈতিক সমীকরণ বদলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।এদিন পাঙ্গাস মাছের চারা ছেড়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি,বসন্ত কুমার দাস,ডিরেক্টর, সিআইএফআরআই, মৎস্য দপ্তরের সচিব অবনীন্দ্র সিং,সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু প্রমুখ।এছাড়া রাজ্য মৎস্য আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত,এর আগে বাম আমলে একইভাবে খাঁচায় মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয় হলেও তা বিফলে গেছে।এবারের প্রকল্প শেষ পর্যন্ত কতখানি সফল হয়? সেটাই এখন দেখার।
👁️🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇